কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম সুন্দর ও নান্দনিক জার্সি ব্রাজিলের। তবে সম্প্রতি ওই জার্সি বর্জনের হিড়িক পড়েছে ব্রাজিলে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো এবং তার সমর্থকরা ফুটবলের মাঠ থেকে হলুদ জার্সিকে রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে রূপ দেয়ায় শুরু হয় বিতর্ক।
আর এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করতে ব্রাজিল ফুটবলের সেই একই বিখ্যাত জিনিসগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, ব্রাজালিয়ান ফুটবল ভক্ত রামালহো জানান, এই হলুদ জার্সি আমার জন্য এক গর্বের প্রতীক ছিল। এটা আমাদের জয়ের প্রতীক ছিল।
শুধুমাত্র ম্যাচ দেখার সময়েই নয়, দৈনন্দিন জীবনেও আমি প্রায়ই এটা পরতাম। কিন্তু এখন রাজনৈতিক কারণে এই জার্সি পরা বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং তার সমর্থকরা ব্রাজিলের হলুদ জার্সিকে একটি রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে এবং নিজেদের দলের প্রতীকে পরিণত করেছে। যেহেতু আমি ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করি না,
তাই হলুদ জার্সি গায়ে দিলে আমাকেও লোকে তাদের একজন ভাবতে পারে বিধায় আমি সেটা পরি না।’ ২৫ বছর বয়সী ইসাবেলা গুয়েদেস আল জাজিরাকে বলেন, ‘ফুটবল ব্রাজিলের জন্য খুব বিশেষ কিছু, বেশিরভাগ সময় এই ফুটবলের কারণেই সবাই একত্রিত হই, এক কাতারে এসে দাঁড়াই। যখন তারা (ডানপন্থী সমর্থকরা) দেশের জন্য অর্থবহ এমন কোনোকিছুকে যখন তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে,
তখন মনে হয় যেন আমাদের কাছ থেকে এটা চুরি করে নিচ্ছে তারা! আমি চাই না বিশ্বকাপের সময় আমার জানালার কাছে একটা পতাকা ঝুলতে থাকুক, কারণ এর ফলে লোকে আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা পাবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।