দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইভিএম কেনার নতুন প্রকল্প নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন নিশ্চয়তা নেই। সরকারের কাছে এ প্রকল্পের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা যথার্থ মনে না হলে অ্যালাউ নাও করতে পারে।
ব্যালট বা ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বর্তমান কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার সকালে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান সংক্ষিপ্ত একটি মতবিনিময় ছিল যারা এসেছিল তারা বিশিষ্ট ব্যক্তি। আমাদের সাথে সৌহার্দ্যমূলক আলোচনা হয়েছে।
বর্তমান কমিশন বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত নিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা এসেই কিন্তু ইভিএমকে সমর্থন করিনি। আমাদের তরফ থেকে ইভিএম নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। আমাদের ছয় মাস হয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া-পদ্ধতিতে ইভিএম যন্ত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি। ব্যাপক আলোচনা করেছি। ব্যাপক অংশগ্রহণও হয়েছে। এর মাধ্যমে ম্যানিপুলেশন (কারচুপি) হয়, এমন কেউ দেখাতে পারেনি। বলতে পারেনি। এখন প্রকাশ্যে সবাই বলছেন, অন্তত ইভিএম দিয়ে হ্যাকিং সম্ভব নয়। এই ধারণাও আগে ছিল না। কিন্তু এখন হয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।