খুলনার বড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী নাসির বলেন, দুপুর ১ টার দিকে ভৈরব স্ট্যান্ড রোডে বসে গল্প করছিলেন। এ সময়ে একজন কর্মচারী চিৎকার করতে থাকে যে আগুন লেগেছে। তিনি সাথে সাথে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। দুপুর ১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, আগুনে বড় বাজার ভৈরব স্ট্যান্ড জুতাপট্রি সংলগ্ন ঘাটের ৫ টি দোকান আগুনে পুড়ে যায়। বড় বাজারের ব্যবসায়ী শংকর দাশ বলেন, দূর্গা পূজার শেষ দিন আজ। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। গুটি কয়েক দোকান খোলা ছিল। না থাকলে পুড়ে সব শেষ হয়ে যেত।
ফায়ার সার্ভিস খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেন, ১ টা ৭ মিনিটের দিকে টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। আগুনের তীব্রতা দেখে তারা সাহায়্য চায়। বয়রা ও টুটপাড়ার ৬ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রেণের কাজ চালায় দুপুর ২ টা দিকে আগুন নিয়ন্ত্রেনে আসে। এখন ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছে। ভৈরব স্ট্যান্ডের রাস্তা সরুগলি পথ হওয়ায় গাড়ি প্রবেশ করেনি। নদীতে পাম্প সেট করে আগুনে পানি দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
বড় বাজার ছিট কাপড় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, কংস বাণিজ্য ভান্ডার থেকে প্রথমে তারা ধোয়া দেখেন। ধোয়া দেখে বাজারে আগত ক্রেতারা দিক-বিদিক দৌড়াতে থাকে। আগুন দেখে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীতে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বড় বাজার শ্রমিক তাদের সাথে যোগ দেয়। এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছে।
আগুনে কংস বণিক, সুরুচি বস্ত্রালয় ও হোসেন ট্রেডিং সহ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কিছু যানা যায়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।