শিহাব উদ্দিন সরকার (যবিপ্রবি): আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত না দেওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২০১৯-২০ সেশনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমান পায় তদন্ত কমিটি। সেই টাকা এতদিনেও ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে কর্মচারী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বাদল। মামলায় সেই সময়ের সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েলকেও ২নং আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামী সোহাগ, জুয়েল সমিতির দায়িত্বে থাকাকালীন আয় ব্যয়ের হিসাব বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে ৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। উক্ত তদন্ত কমিটি ১,৪৪,০০০/- (এক লক্ষ চুয়াল্লিশ) টাকার আত্মসাতের প্রমান পান। সমিতির আয়কৃত ১,৪৪,০০০/- (এক লক্ষ চুয়ালিশ হাজার) টাকার কোন রেজুলেশন বা সমিতির আয় ব্যায়ের খাতায় লিপিবদ্ধ বা সমিতির ব্যাংক হিসাবে ও জমা প্রদান না করে আসামীদ্বয় নিজেরা উক্ত টাকা আত্মসাত করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বিবরণে আরও বলা হয়, আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বর্তমান কমিটি তাদেরকে একাধিক বার চিঠি দিলেও অভিযুক্তরা সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরবর্তীতে ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখে অভিযুক্তদের সমিতির কার্যালয়ে ডেকে আত্মসাৎকৃত ১,৪৪,০০০/ টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন।”
বর্তমান কর্মচারী সমিতির নেতাদের ভাষ্য মতে আরিফুজ্জামান সোহাগ কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মচারীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিক কর্মপরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে অন্তরায়। সোহাগের এমন হীন কাজে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে এগুলো করা হচ্ছে। আমি নির্দোষ’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।