কিডনি মানুষের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়ে তাকে, সেগুলোকে প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বের করে দেয়াই কিডনির প্রধান কাজ। এই অঙ্গে সমস্যা হলে গুরুতর অসুখ দেখা যেতে পারে।

কারণ কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গোটা শরীর থেকে খারাপ পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়া যায় না। এতে করে তৈরি হয় জটিলতা। আবার কয়েকটি কারণে এখন কিডনির অসুখ বহুগুণ বাড়ছে। তাই কিডনির সমস্যার নানা লক্ষণ জানা জরুরি। কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। এছাড়াও কিছু পানীয় রয়েছে যেগুলো পান করলে কিডনি রোগ বাড়তে পারে। চলুন জানা যাক সে সম্পর্কে।

মদ: পশ্চিমবঙ্গের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এর প্রধান ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, মদ শরীরের জন্য খারাপ। এই পানীয় শরীরে গুরুতর কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে। দেখা গেছে যে, নিয়মিত মদ খেলে কিডনিতে তার গুরুতর প্রভাব পড়ে। তাই কিডনি রোগীদের অবশ্যই মদ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই গুরুতর সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যাবে।

কার্বোনেটেড ড্রিংকস: গরম বেড়েই চলেছে। তাই মানুষ কার্বোনেটেড নানা সফট ড্রিংকস বা কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছেন। এই খাবার কিডনির ক্ষতি কিছুটা হলেও করতে পারে। আর শুধু কিডনি নয়, সারা শরীরের ক্ষতি করে এই খাবার। তাই সতর্ক থাকুন।

কেনা লাচ্ছি: মীনাক্ষী মজুমদার জানান, এখন আমরা বাড়িতে খাবার বানাই না। আর এর প্রভাব সরাসরি পড়ে গিয়ে শরীরের উপর। আসলে কেনা লাচ্ছি বা ছাঁচের মধ্যে অনেক বেশি লবণ থাকে। যা প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করে। আর প্রেশার বাড়লে শরীর খারাপ হয়। তখন কিডনি খারাপ হতে যায়।

কফি বেশি খেলে: কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই উপাদান কিন্তু কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। তাই কফি বেশি খাওয়া উচিত নয়। দিনে সর্বোচ্চ তিন কাপ খাওয়া যেতে পারে।

প্যাটেকজাত স্যুপ: প্যাকেটজাত স্যুপ খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। এই স্যুপে অনেক বেশি পরিমাণে লবণ থাকে, যা প্রেশার বাড়ায়। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রেশার বাড়লে সমস্যা গুরুতর হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।