জলসীমায় তুরস্ক শরণার্থী বোঝাই নৌকা পাঠিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গ্রিস। তবে এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক।
শুক্রবার এথেন্সের জলসীমায় শরণার্থী বোঝাই নৌকা ঢোকানোর বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হয়ে বলে জানিয়েছেন গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নোতিস মিতারাসি।
তুরস্কের কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
এই ঘটনাকে উস্কানি বলে অভিহিত করে গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী বলেন, নিঃসন্দেহে বলা যায় এসব অভিবাসী তুরস্ক উপকূল থেকে রওনা দিয়েছে এবং তুরস্ক তাদের সমর্থন করছে।
এই অপ্রয়োজনীয় উস্কানি বন্ধ করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এদিকে গ্রিসের এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক। দেশটির ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল কাটাকলি এক টুইট বার্তায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গ্রিস ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা আর মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কাটাকলি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গ্রিস শুক্রবার সাতটি ঘটনার মাধ্যমে ২৩১জন শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলে তুরস্ক তাদের উদ্ধার করেছে। নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এমনিতেই তুরস্ক ও গ্রিসের সম্পর্ক ভালো নয়।
তুরস্ক এবং গ্রিস দুটি দেশই ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকা থেকে জ্বালানি আহরণের প্রতিযোগিতায় তারা হয়ে উঠেছে পরস্পরের প্রতিপক্ষ। সম্প্রতি সাইপ্রাস দ্বীপের উপকূলে সাগরে বিশাল গ্যাসের মজুত আবিষ্কৃত হয়। এর পরই সিপ্রিয়ট সরকার, গ্রিস, ইসরাইল এবং মিসর এই সম্পদ আহরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে উদ্যোগী হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।