সংবাদদাতা মোঃ ইউসুফ খাঁন: করোনার প্রকোপ ঠেকাতে দেশে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনের শুরুর দিনে দেশের উত্তরের বিভাগীয় শহর রংপুর দখলে রয়েছে রিক্সা, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলের। মানুষও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে। নগরীর কোথাও কোথায় স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত রংপুর নহানগরীর জাহাজ কাম্পানী মোড়, পায়রাচত্বর, সুপার মার্কেট, সিটি বাজার, কাচারি বাজার, ধাপ মেডিকেল মোর, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মডার্ণ মোড়, সাতমাথা এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

নগরীর প্রধান সড়কে দু’পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ থাকলেও গলির ভেতর, পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বাইরের দৃশ্য একেবারেই ভিন্ন।
আদালত ছাড়া সরকারি সব অফিসই খোলা রয়েছে। সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে সরকারি কিছু ব্যাংকে উপচে পড়া ভীড়। নেই সামাজিক দুরুত্ব। গাদাগাদি করেই লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংক থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন গ্রাহকরা। এমন দৃশ্য দেখা গেছে নগরীর কাচারি বাজার সোনালী ব্যাংক শাখায়।

সেখানে আফসার আলী নামে একজন জানান, ব্যাংকের কেসি গেট শুধু খোলা একজন যেতে পারে। তাই সবাই লাইনে, এই লাইনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে অনেক দীর্ঘ লাইন এখানে। একটি গেট না হয়ে দুই তিনটি গেট করলে হয়তো আমাদের ঝুঁকি নিতে হতো না।

নগরীতে চলাচলরত অটোরিক্সাগুলোতে দেখা গেছে, অধিকাংশ অটোরিক্সাতেই যাত্রী ভর্তি। চার থেকে ৬ জন পর্যন্ত যাত্রী রয়েছে অটোরিক্সাগুলো।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে কথা হয় মোকছেদ আলী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। অটোরিক্সায় করে রাস্তায় বেড়িয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, লকডাউন দেখার জন্য বাসা থেকে বের হইছি। একটু পর ফের বাসায় যাবো। দেখি, শহরে দোকান খোলা আছে কী না ?

সকালে সাড়ে নয়টার দিকে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমরা তো সরকারি চাকুরি করি। লকডাউন তো আমাদের নেই। তাই আমরা রিক্সায় করে বের হয়েছি। এই রিক্সাও যদি বন্ধ করেন তাহলে অফিস যাতায়াত করবো কীভাবে?

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা যতই বাড়ছে ততই দুরপাল্লা বা অন্তজেলার বাস মিনিবাস ছাড়া সব ধরণেল গনপরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা কয়েকটি টিমে ভাগ করে মাঠে আমরা কাজ করছি। শহর এবং শহরেও বাইরেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদে সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছি। যাতে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা যায়।