দীর্ঘদিনের অফফর্ম, চারদিকের তুমুল সমালোচনা, দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ-এমন শত শত অভিযোগ মাথা পেতে নিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের সমালোচিত ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আজ খেললেন, বাঁচালেন দলের মান।

নিজেদের সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেদিন লিটন-সৌম্য-সাকিবরা ব্যর্থ হয়েছেন, সেদিন একা দলের হাল ধরে সম্মানজনক রান এনে দিয়েছেন দলকে।

শান্ত’র ব্যাটিং নৈপুণ্যেই ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৫০ রান। জেতার জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৫১ রান। এর আগে, রোববার (৩০ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে টাইগাররা।

এদিন মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে রিচার্ড এনগারাভারকে চার মেরে দারুণ সূচনা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফের শান্তর চার। কিন্তু এদিন রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে উইকেটকিপার রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য।

আফিফ-সৈকত জুটি শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের হাল ধরলেও শেষ ওভারে পর পর ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৈকত এবং রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সোহান এবং শেষ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন আফিফ। ফলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় রান দাঁড়ায় ১৫০ রান

সৌম্যের বিদায়ের পর লিটন দাস মাঠে নেমে দু’টি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির ফাঁদে ধরা পড়েন তিনিও। স্কুপ করে শর্ট থার্ডে তেন্দাই চাতারার ক্যাচ দেন লিটন। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এরপর সাকিব-শান্ত জুটি খেলার হাল ধরার চেষ্টা করেন। ৫০ রানের জুটি গড়েন এই জুটি। কিন্তু তারপরই ঘটে ছন্দ পতন। শন উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন সাকিব। সাকিব ফিরে গেলেও আফিফকে নিয়ে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন দীর্ঘদিন অফ ফর্মে থাকা শান্ত।

দুর্দান্ত এক অর্ধশতকের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলা শুরু করেন এই ওপেনার। কিন্তু ১৭তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিনের হাতে তালুবন্দী হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর মাঠে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আফিফ-সৈকত জুটি শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের হাল ধরলেও শেষ ওভারে পর পর ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৈকত এবং রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সোহান এবং শেষ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন আফিফ। ফলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় রান দাঁড়ায় ১৫০ রান।

বাংলাদেশ একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ:
ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটকিপার), মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানি।