ঠাকুরগাঁওয়ে FnF Pharmaceuticals Litd. কোম্পানির প্রতিনিধির দেওয়া ভুল ওষুধ প্রয়োগে একটি খামারের প্রায় ২২’শত মুরগী মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কোম্পানির ও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন খামারের মালিক মমিনুল হক।

ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে। মঙ্গলবার (০৮নভেম্বর) ১৬০০’শ আর আজ মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬০০শত মুরগী মারা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারি মমিনুল ইসলাম জানায় , আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে ১০ বছর ধরে মুরগি খামারের ব্যবসা করে আমার দুই ছেলে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও স্কুলে লেখাপড়া করানো সহ সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু এ ধরনের দূর্ঘটনা কখনো ঘটেনি। গত কদিন আগে এফএনএফ (FnF Pharmaceuticals Litd.) নামের একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহাবুব আমাকে মুরগির ঠান্ডা ও সর্দির ওষুধ টিআমোভেট দিয়ে বলে এ ওষুধ প্রয়োগে মুরগির কোন ক্ষতি হবে না। আর ক্ষতি হলে তা কোম্পানি দেখবে। তার কথা মত আমি ১৬ হাজার টাকার ওষুধ কিনে গত শুক্রবার খামারের ৪ হাজার সোনালি জাতের মুরগি গুলোকে খাইয়ে দেই। শনিবার থেকেই আমার মুরগি গুলো মরতে শুরু করে। ৪ হাজার মুরগির মধ্যে ২২০০শত মুরগি মারা যায়। মুরগি গুলোর বয়স ৪২ দিন করে হয়েছিলো। ৬০ দিন বয়স হলেই সেগুলো বিক্রি করতাম। আমার এ মুরগি গুলোর পেছনে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বুঝতে পারছিনা এখন কি করবো। আমি তো পথে বসে যাবো। এ ঘটনার পর ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে ফোন করলে তিনি আর ফোন ধরছেন না। আমার সাথে এমন টা কেন করা হলো। আমি ওই কোম্পানি ও তার প্রতিনিধির কঠোর শাস্তি চাই।

এব্যাপারে এফএনএফ (FnF Pharmaceuticals Litd.) ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মাহাবুব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা মমিনুলকে যে ওষুধ দিয়েছি তা তিনি হয়তো সঠিক মাত্রায় দেননি। আমার তো এখানে কোন দোষ দেখছিনা।

তবে মমিনুলের খামারে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে আসা ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা: আল মামুন জানান, টিআমোভেট নামের এন্টিবায়োটিক এ ওষুধটি কোন ভাবেই সোনালি এ জাতের মুরগির জন্য নয়। এ ওষুধটি লেয়ার জাতের মুরগির জন্য। এখানেই আসলে ভুল টি করেছে ওই কোম্পানির প্রতিনিধি।

এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, খামারের মালিক ভুল চিকিৎসার অভিযোগে FnF Pharmaceuticals Litd. ও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে একটি লিখির অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।