নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে ওমরপুর পশুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ পেয়ে ইজারাদারকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার পর ম্যাজিস্ট্রেট হাট থেকে চলে যাওয়ার পরপরই ফের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পশুর ক্রেতা-বিক্রেতারা। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম নীতি।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হাটে ইজারাদারের প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফাকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। তিনি সরকারি নির্ধারিত হাসিল (খাজনা) আদায় করার জন্য কড়া নির্দেশনা দেন। পশু ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সরকারি নির্ধারিত হাসিল উল্লেখ করে পশুর হাটে তালিকা টাঙানো এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে মাইকিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত থানার উপ-পরিদর্শক চান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
তবে কয়েকজন পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, জরিমানা করে ম্যাজিস্ট্রেট হাট থেকে চলে যাওয়ার পরপরই আবারো অতিরিক্ত টাকা নেওয়া শুরু করে ইজারাদারের লোকজন। এ ব্যাপারে মন্তব্য নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলামকে সরকারি ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সুত্রমতে, পৌরসভার ওমরপুরে প্রত্যেক সপ্তাহের শুক্রবার পশুর হাট বসে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ওমরপুর পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের কথা স্বীকার করেন আদায়কারীরা। তারা ইজারাদার প্রতিনিধির নির্দেশে প্রত্যেক গরু থেকে ক্রেতার কাছ থেকে ৬শ’ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১শ’ টাকা আদায় করে। উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এবং তদারকি না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে উভয়ের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ হাসিলের টাকার পরিমান না লিখেই রসিদ দেয়।
তথ্য এবং ভিডিও নিয়ে ফেরার পথে হুমকির শিকার হন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়াসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ওমরপুর পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গেলে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ মেলে। এসময় আর.কে এন্টারপ্রাইজ ইজারাদারের প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফাকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।