জয়পুরহাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (২০-বিজিবি) ক্যাম্পের সিপাহী নেপাল দাস (৩১) নামের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় তার লাশ বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
নিহত বিজিপি সদস্য হলেন,নেপাল দাস ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেঘচামী এলাকায় নারায়ণ দাসের ছেলে। সে ২০-বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সিপাহী হযরত এর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সুত্র জানা যায়,বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএম স্কুল ২০ বিজিবির বিশেষ ক্যাম্প এর ভিতরে সিপাহী হযরত এর গুলিতে আহত নেপাল দাস নামক একজন সিপাহীকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত.ঘোষণা করেন। এবং রাতেই লাশটি ময়নাতদন্ত করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে লাশ বিজিবি ক্যাম্পে হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়।
বিষয়টি জানান জন্য জয়পুরহাট-২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রফিকুল ইসলামের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, নিহতের শরীরে বন্দুকের গুলির ক্ষত রয়েছে। পিঠে, বুকে ও ডান হাতে ক্ষতের চিহ্ন আছে। এটি দেখে মনে হয়ে পিট দিয়ে গুলি ঢুকে বুক দিয়ে বের হয়ে গেছে। তাছাড়াও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিষয়টি আরও পরিস্কার বলা যাবে বলেও তিনি বলেন।
এদিকে জয়পুরহাট সদর থানার পরির্দশক গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, এঘটনায় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জয়পুরহাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।