শীতের আবহ ছড়িয়ে পড়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।
রাতে ঠান্ডা দিনে গরম, আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে ঠাকুরগাঁও জেলায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১’শ রোগী আসছেন এখানে চিকিৎসা নিতে। যদিও শয্যা সংখ্যা মাত্র ৪৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩৫ জন শিশু এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন স্বজনরা।
হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায়, শয্যা সংকটে গাদাগাদি পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝে সব জায়গাই রোগীতে ভর্তি। শীত আসার এই সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আবু মো. রাজীব-উল-দোজা।
এদিকে, মাগুরায় গত এক সপ্তাহে ৪ শতাধিক শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে এখন ভর্তি রয়েছে ১৫৩ জন শিশু। শয্যার অভাবে অনেকেই, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই শিশুদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়া ও বিভিন্ন ধরনের খ্যাদাভাসের কারণে শ্বাসকষ্ট ও এলার্জির সমস্যা বাড়ে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।