বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে যেন পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা দেওয়া না হয়। সমাবেশ করা বিএনপির সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং ঢাকার সমাবেশ হবেই হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া। তারা বিএনপি এবং দেশের জনগণকে সুরক্ষা দেবে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ড. এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, অধ্যাপক কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান প্রমুখ।

আমীর খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, সেটাকে শুধু পরিবর্তন নয়, তারেক রহমান তার রূপান্তর করতে চায়। বিএনপি সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে তা করবে। এ দেশে কী হয়, সরকার কী করে এগুলো কূটনৈতিকরা যার যার দেশের সরকারকে জানানোটাই তাদের দায়িত্ব। এ জিনিসটা সরকারের মাথায় আছে বলে আমি মনে করি না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে চাই না। কারণ জবাব দিতে হলে যে জায়গায় নেমে জবাব দিতে হবে সেই জায়গায় আমি নামতে পারব না। শুধু একটি কথা বলতে চাই- বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। জনগণের পক্ষে কাজ করা, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করা একটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তাই সরকারকে এবং সরকারের পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ার দিয়ে বলতে চাই- ১০ ডিসেম্বর সরকার যেন তার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা না দেয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ১০ ডিসেম্বর কী হবে? এ সরকার ১০ তারিখের আগেও যেতে পারে, পরেও যেতে পারে। আসল কথা হচ্ছে এ সরকার থাকতে পারবে না। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এ সরকারের অধীনে মানুষ আর কোনো কিছু প্রত্যাশা করে না। এটাই হচ্ছে এ দেশের বর্তমান বাস্তবতা।