মোঃইমরান হোসেন | স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সন্ধান পাওয়া গেছে এক ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন নাগলিঙ্গম বৃক্ষ। সব জায়গায় এর দেখা না মিললেও বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) ক্যাম্পাসে এই বৃক্ষটির দেখা মেলে। বছরের ১২ মাস ফুল-ফল থাকলেও মূলত এখন তার ভরা মৌসুম।
বিটিআরআই এর উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ সূত্র জানায়, বিরল প্রজাতির নাগলিঙ্গম এ রয়েছে এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিসেপ্টিক আর ঔষধি গুণাগুণ। তবে দক্ষিণ আমেরিকায় এ উদ্ভিদটির উৎপত্তিস্থল। এ বৃক্ষটি সাধারণত ৮৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুল কমলা ও রক্তবর্ণ রঙের হয়। ফলগুলো সাধারণত বড় গাব ফল আকৃতির ও চকোলেট রংয়ের হয়ে থাকে।
এখন বিটিআরআই’র মূল ভবনের সামনে নাগলিঙ্গাম গাছটিতে ফুল ও ফল দুটিই শোভা পাচ্ছে। ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণ থাকে গাছটিতে। পর্যটকরা এক নজর দেখে বিরল এই বৃক্ষটির প্রেমে পড়ে যান। নাগলিঙ্গম এর ফলের ভেতর ২শ’ থেকে ৩শ’ বীজ থাকে। ফ্রান্সের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জে. এফ. আবলেট ১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দে এটির নামকরণ করেন।
বিটিআরআই ক্যাম্প সূত্র মতে, দক্ষিণ আমেরিকাতে এ গাছের পাতা ও ছালের নির্যাস চর্মরোগ ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এর কচি পাতা দাঁতের ক্ষয়রোধও করে। ফলের নির্যাস শরীরে ব্যবহার করলে পোকামাকড় ও মশার আক্রমন থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চা বোর্ডেও তৎকালীন চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ আল হেলাল বিটিআরআই ক্যাম্পাসের ভেতরে এ নাগলিঙ্গম গাছের চারাটি রোপণ করেছিলেন। এরপর থেকে চা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা গাছটির নিবিড় পরিচর্যা করে থাকেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।