বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: মহামারি করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। গোটা দেশের ন্যয় চলছে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাতে লকডাউনের ৩য় দিন। তবে চলাফেরা সহ সকল কাজ কর্ম দেখে মনে হচ্ছে আজও কোন প্রভাব পড়েনি লকডাউনের। বাস ছাড়া প্রায় সকল যানবাহন চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।

মাস্কের ব্যবহার তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় নি। শপিংমল (কাপড়ের দোকন) বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও উপজেলার ছোট খাটো বাজার গুলোতে দেখা মেলে কাপড়ের দোকান গুলো কেউ এক শাটার খুলে বাইরে দাড়িয়ে আছেন আবার কেউ পুরোটা খুলে ভেতরে বসে কেনাবেচা করছেন।

এবিষয়ে বাঘারপাড়া মজিদ সুপার মার্কেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যখন লকডাউন দিয়েছে তখন সব কিছুই লকডাউন দেয় নি কেন? আর আমরা তো আসছে ঈদকে সামনে রেখে এনজিও থেকে টাকা লোন নিয়ে দোকানে কাপড় তুলেছি।

এখন লকডাউনে দোকান যদি বন্ধ রাখি তাহলে সাংসারিক খরচ কিভাবে চালাবো আর সমিতির কিস্তির টাকাও বা কিভাবে পরিশোধ করবো? আমাদের বাঘারপাড়ায় অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। অনলাইনে কিভাবে পণ্য কিনতে হয় এটা দু”এক জন ছাড়া আর কেউ পারে না।

 

তাহলে আমাদের উপায়টা কি? সরেজমিনে উপজেলার মহিরণ, দোহাকুলা, কড়াইতলা, মিরপুর, রায়পুর, নারিকেলবাড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় যেয়ে দেখা যায় থেমে নেই সমিতির কিস্তি আদায়।

দেশের চারিদিকে মানুষ যখন দিশে হারা তখন বে সরকারি কিছু সংস্থা (এনজিও) বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তাদের ঘরের টাকা গুলি গুছিয়ে ঘরে ফেরাতে। এসব সমিতির মালিকরা ভাবছেন কখন জানি ঘোষনা আসবে ব্যাংক,বিমা, ঋণের টাকা আদায় বন্ধ, এই আত্মংকে তারা কিস্তি আদায়ের জোর গতি বাড়িয়েছেন।

অথচ সরকার এদেশের সকল এতিমখানা বাদে কওমী,আলিয়া,আবাসিক-অনাবাসিক মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ভয়াবহ মহামারি করোনার কারনে যেখানে স্কুল কলেজ,মাদ্রাসাসহ ব্যবসার কিছু অংশ বন্ধ ষোষনা দিয়েছেন সেখানে কিস্তি আদায় কি ভাবে চালু থাকে এ টাই সাধারণ জন গনের প্রশ্ন।

তাছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা আগের মতোই বিরাজ করতে দেখা গেছে। লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার বাঘারপাড়া উপজেলার হাট চাড়াভিটা বাজারে যেয়ে দেখা গেছে সকল প্রকার দোকান পাটা খোলা, নেই অনেকের মুখে মাস্ক,এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্যে গতকাল সতর্কতা মাইকিং হলেও কেউ মানছেনা কোনো সতর্কতা। বুধবার বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ছবি ও নিউজের সত্যতা পাওয়া যায় বেপরোয়া চলাফেরার।