মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় ঋণের সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হতে পারে নতুন সুদহার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। প্রথমে বাড়বে এসএমই ঋণের সুদ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, সীমা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সুদহার মুদ্রা বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে ব্যাংকগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা হলেও কমবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ঋণের সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করা হবে। পরবর্তীতে চলতি মূলধন ঋণ ও মেয়াদি শিল্প ঋণের সুদহারের সীমা তুলে নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ব্যাংকগুলো ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। কিন্তু ঋণ বিতরণ করতে হচ্ছে ৯ শতাংশ সুদেই। ফলে ব্যাংকের নেট মুনাফা থাকছে না। একই সঙ্গে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার চাপ রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলেরও। সবকিছু মিলে ঋণের সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করা হবে। তখন বাড়বে আমানতের সুদও।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বাজার ব্যবস্থার ম্যাধমে নির্ধারিত সুদহার বাস্তবায়নের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনানুষ্ঠানিক ভাবে ব্যাংকগুলোকে ভোক্তা ঋণের সুদের হার বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে গত অক্টোবরে। ব্যাংকগুলো বর্তমানে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ভোক্তা ঋণ বিতরণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব ধরনের ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই ভোক্তা ঋণের সুদহার বাড়ানোর জন্য বেসরকারিভাবে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী বছরের প্রথম দিন হতে পর্যায়ক্রমে সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতির চাপ ব্যাংকগুলোকে আমানতের সুদহার বাড়াতে বাধ্য করেছে। সুদহারের সীমার কারণে এটি ঋণ-আমানতের সুদহারের ব্যবধানের (স্প্রেড) ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমে গেছে। এ কারণেই সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।