কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্রান্স জেতার পর পিএসজি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে আশরাফ হাকিমি লিখেছিলেন, ‘শিগগিরই দেখা হবে বন্ধু।’ দুই বন্ধুর দেখা হচ্ছে আজ। কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি এমবাপ্পের ফ্রান্স ও হাকিমির মরক্কো।
এমবাপ্পে যেমন সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার, হাকিমি তেমনি সেরা ডিফেন্ডারদের একজন। পিএসজিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের পাশাপাশি মাঠের বাইরে তারা ভালো বন্ধু। কিন্তু আজ ফাইনালে ওঠার যুদ্ধে বন্ধুত্ব ভুলে দুজনই চাইবেন একে অন্যের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ দলকে জেতাতে।
দুই বন্ধুর পজিশনেই লুকিয়ে আছে ম্যাচের ‘ক্যাচলাইন’। শেষ চারের লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে মরক্কোর জমাট রক্ষণের বিপক্ষে ফ্রান্সের দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের খেলা অনেকটা প্রত্যাশিত। চোটের দরুন বেনজেমা, পগবা, কান্তের মতো তারকাদের হারানোর ধাক্কাও টলাতে পারেনি তাদের। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করেছেন এমবাপ্পে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার গোল অলিভিয়ের জিরুর। আরেক ফরাসি ফরোয়ার্ড আঁতোয়া গ্রিজমান আলো ছড়াচ্ছেন প্লেমেকারের ভূমিকায়। আছেন উসমান দেম্বেলেও। সেখানে দল হিসাবেই মরক্কো করেছে এমবাপ্পের সমান পাঁচ গোল! তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হিসাবে মরক্কো উঠে আসবে, এমনটি ভেবেছিল কে! বিস্ময়ের পসরা সাজিয়ে একে একে বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে আটলাসের সিংহরা প্রমাণ করেছে যে, তাদের সামর্থ্য আছে আরেকটি শক্তিশালী দলকে বিদায় করে দেওয়ার।
মরক্কোর এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে বড় অবদান রেখেছে রক্ষণে তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি গোল হজম করেছে তারা, সেটিও আত্মঘাতী। দুই ডিফেন্ডার রোমেইন সাইস ও নায়েফ আগুয়ের্দ চোটের সঙ্গে লড়লেও মরক্কোর জমাট রক্ষণ ভাঙার চ্যালেঞ্জ সহজ হবে না ফ্রান্সের জন্য। মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনু আছেন স্বপ্নের ফর্মে। রক্ষণ জমাট রেখে আচমকা প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নেওয়াই মরক্কোর কৌশল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।