বিজ্ঞানীরা বহুকাল ধরেই স্বপ্ন দেখছিলেন এমন এক জ্বালানির উৎস আবিষ্কারের – যা কোনদিন ফুরিযে যাবে না, আর এর কোন পরিবেশগত বিরূপ প্রতিক্রিয়াও থাকবে না। তাদের মতে, একটি মাত্র উপায়েই এরকম এক জ্বালানির উৎস তৈরি করা সম্ভব – আর তা হচ্ছে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’- যাকে বাংলায় বলা যায় ‘পারমাণবিক সংযুক্তি’।
অবশেষে গত সপ্তাহে মার্কিন বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছেন যে এরকম এক প্রযুক্তি আবিষ্কারের পথে যে বড় বাধাটি এতদিন তাদের আটকে রেখেছিল – সেটা অতিক্রম করতে পেরেছেন তারা। বাধাটা কী? সমস্যাটা ছিল দুটি পরমাণুর সংযুক্তি বা ফিউশন ঘটাতে যে পরিমাণ শক্তি খরচ হচ্ছিল, ফিউশন থেকে পাওয়া যাচ্ছিল তার চেয়ে অনেক কম শক্তি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন এই সমস্যার একটা সমাধান পাওয়া গেছে। ‘ফিশন’ আর ‘ফিউশন’- পরমাণু শক্তি পাবার দুই চাবিকাঠি।
অনেকেই জানেন পরমাণু হচ্ছে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা তিনটি আরো ক্ষুদ্র উপাদান দিয়ে গঠিত – ইলেকট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন। প্রোটন আর নিউট্রন মিলে তৈরি হয় পরমাণুর কেন্দ্র আর তার চারদিকে ঘুরতে থাকে ইলেকট্রন। এই পরমাণুর কেন্দ্রটাকে যদি ভাঙা যায়, তাহলে যে শক্তি দিয়ে নিউট্রন আর প্রোটন একসাথে লেগে আছে – তা মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আনে। ফিউশন প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র তাহলে কবে দেখা যাবে? এটা একটা বিরাট প্রশ্ন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।