বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে বর্নিচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বলাৎকার কারী আজাদ মোল্যার (৩৭) বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিলেও সে নির্দেশ অমান্য করেন প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রধান শিক্ষককের আপন ভাগ্নে ও সভাপতির দলীয় পক্ষের লোক হওয়ায় তারা বলাৎকারের মত একটি ভয়ানক ঘটনা এড়িয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, এতো বড় ঘটনার পর স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে দুচিন্তা হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে এটিইও মো. আজিজুর রহমান খানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু আহাদ মিয়া। ওই কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির আরো দুই সদস্য হলো এটিইও টিপু সুলতান, এটিইও শরীফ বসির।
আজিজুর রহমান খান বলেন, প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। যদি প্রধান শিক্ষক সে নির্দেশ না মানে তাহলে প্রধান শিক্ষক বিপাদে পড়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত করে যদি দপ্তরিকে দোষী পায় তাহলে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হবে। কোন রকম ক্ষমা হবে না।
প্রধান শিক্ষক মো. সানোয়ার করিম বলেন, বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছিল। সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। সকলে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় বা পরস্পর ঘটনা শুনেছি। কিন্তু কোন লিখিত নেই। তাই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
স্কুলের সভাপতি মো. আনিচুজ্জামানের 01714783686 মোবাইল নাম্বারের ফোন দিলে তিনি রিসিফ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভাব হলো না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।