বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকের অফিসে বুধবার (২১.১২.২২) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসির কমপ্রেসার বাস্ট হয়ে এ অগ্নিকান্ডর ঘটনা ঘটে। পৌর সদর বাজারের জেলা পরিষদের মার্কেটের ওই কক্ষে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন প্রান্ত সিদ্দিক।

জানা যায়, ওই দিন সকাল ১১টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারের ডাকবাংলোর সামনে জেলা পরিষদের মার্কেটে মেসার্স সিদ্দিক এন্টার প্রাইজ নামে প্রান্ত সিদ্দিকের অফিসে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বাজারের জনতার সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রন করে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর সত্তার জানান, এসির কমপ্রেসার বাস্ট হয়েছে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।

অপরদিকে অগ্নিকান্ডের বিষয় নিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় ডাকবাংলোতে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিক। তিনি বলেন, তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিক এন্টার প্রাইজের অফিস রয়েছে ওই মার্কেটে। বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের কাগজপত্র, ব্যাংকের চেকসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিল। যা অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত হয়েছে। আসবাপত্র এবং সাজসজ্জাসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, নিয়ম বহির্ভুতভাবে জেলা পরিষদের মার্কেটটি নিমার্ণ করা হয়েছে। পিছনে অন্যের ওয়ালের সাথে ছাদ পিটিয়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। যে কারণে বৃষ্টির সময় ওই কক্ষে পানিতে ভেসে যায়। লাইট, এসির ভেতর দিয়েও পানি পড়তে থাকে। এ বিষয়ে একাধিকবার জেলা পরিষদে অভিযোগ দিয়েও কাজ হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ্ পিকুল ঠিকাদার হিসেবে ওই মার্কেট নিমার্ণ করেন। প্রভাবশালী ওই নেতা অনিয়ম করে মার্কেট নিমার্ণ করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জেলা পরিষদও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ্ পিকুল বলেন, প্রান্ত সিদ্দিকের অভিযোগ ঠিক নয়। সঠিকভাবে সিডিউল মেনেই মার্কেটের নিমার্ণ কাজ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ওই অফিসের লাইন বিছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ অফিস। সাইড লাইন নিয়ে ওই অফিসের বিদ্যুৎ চলছিল। সে কারণেই এ রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। .সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মতুর্জা আলী তমাল, জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাফাত ইসলাম বাপ্পি, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম ও রাকিব আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মৃদুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।