তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেও নেতাদের অংশ নেয়া ঠেকাতে পারবে না।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিদ্ধান্ত সমুদ্রের ওপার থেকে আসে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যিনি বা যারা সিদ্ধান্ত দেন তাদের বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তারা ১৫-১৬ বছর ধরে দেশের বাইরে। দেশের পরিস্থিতি কী সে ব্যপারে তাদের ধারণা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগ করা একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির অনেকেই মনে করেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা এবং প্রতিহত করার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি ভুল ছিল। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার দোলাচলের মধ্যে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাও ভুল সিদ্ধান্ত।
তাদের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই পদত্যাগ বিএনপির জন্য শুভ হয়নি। আব্দুর সাত্তারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে এটাই বোঝা যায়, ভবিষ্যতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকানো যাবে না।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বর্তমান মেয়াদের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র না থাকলে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতো।
সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য বিষয়ে তিনি বলেন, আসলেও তো উনারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এবং ওনারা সন্ত্রাসের ওপর ভর করেই রাজনীতিটা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের মেন্ডেড নিয়ে সরকার গঠন করেছে এবং দেশ পরিচালনা করছে।
আমাদের জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আমরা দেশ পরিচালনা করবো। জনগণ না চাইলে আমরা একদিনও থাকবো না। বিএনপি বরং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় এবং পেছনের দরজা দিয়েই ক্ষমতায় গিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।