নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ হাসপাতালে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ১৫ জনের কাছ থেকে ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল, তার স্ত্রী পপি বেগম, শালিকা নিগার সুলতানা রিক্তা ও ড্রাইভার মোস্তফাসহ ৪ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (১৫) দুপুরে মর্জিনা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী জয়পুরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক নিশিত রঞ্জন মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে বাদিনী পক্ষের আইনজীবি উজ্জল হোসেন জানান, বাদীনি মর্জিনা খাতুন তত্বাবধয়াকের বাসাতে দীর্ঘদিন থেকে ঝিয়ের কাজ করতেন। এর সুবাদে আসামীরা যোগসাজসে তার মাধ্যমে ১৫ জন লোকের কাছ থেকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা নেন। পরে চাকুরী না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আসামীরা বিষয়টি অস্বীকার করে মর্জিনা খাতুনকে হুমকি প্রদান করেন। বাধ্য হয়ে মর্জিনা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আদালত থেকে এখনও কোন কাগজ পাইনি (রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত)।
বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রাশেদ মোবারকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক। আমাকে হেয় করার জন্য কোন গোষ্ঠী বা মহলের সাথে যোগসাজশে মর্জিনাসহ তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।