মো.জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৭-৮ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে মোকারম নামের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
২৯ জানুয়ারি (শনিবার) ভোর রাতে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের মশিয়ার শাহ্ পাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পড়ে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ছফুর উদ্দিন নামে একজন পুকুরের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, পুকুরের মাছগুলো মৃত অবস্থায় ভেসে উঠছে। পরে সবাইকে ডাকাডাকি করে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ফজলে,মান্নান, ও জবেদ আলী জানান, প্রায় বছর ৪ আগে আমরা তিন পরিবার মিলে আমাদের বাড়ির পাশেই ২০শতকের একটি পুকুর মঞ্জুরুল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করি। এবং সেটাতে প্রতিবছরই মাছ চাষ করে আসছি। সেখানে অবশ্য মৃত আবুল কালামের ছেলের ১০ শতক অংশ আছে। তারাও সেখানে মাছ চাষ করে। কিন্তু প্রায় এক-দেড় বছর থেকে তারা ঐ পুকুর নিয়ে আমাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া,মারামারি,হামলা মামলায় লিপ্ত রয়েছে। তারা আমাদেরকে পুকুরে মাছ ছাড়তে নানাভাবে নিষেধ করতো এমনকি পুকুরের মাছ মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন। তাই মোকারম ও তার পরিবারের সদস্যরা লোকজনই পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছেন।
তারা আরো জানায়, গত ৫ মাস আগে তারা ৩ পরিবার মিলে বাড়ির পাশের ওই ২০ শতক পুকুরে বিভিন্ন জাতের ৫ মণ মাছের পোনা ছাড়েন। সবমিলিয়ে পুকুরে ৭ থেকে ৮ মণ মাছ ছিল।
এতে তাদের প্রায় ৫০_৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সংবাদকর্মী জসিম উদ্দিন বলেন, এই পুকুরটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এর আগে আমার উপর হামলা চালিয়েছিল মোকারম ও তার পরিবারের লোকজন। এবং তখন আমার মা কে তারা গুরুতর আহত করেছিল তখন আমি থানার দ্বারস্থ হয়ে একটি মামলা করেছিলাম সেটি এখনো বর্তমানে আদালতে চলমান। গত ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সেই মামলার তারিখ ছিল আমি কোর্টে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা (মোকারমের পরিবার) কেউ উপস্থিত হননি। মূলত সেখান থেকেই হয়তো বা নোটিশ আসার কারণে আক্রোশে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোকারম হোসেনর ০১৭৭০৩৯২৭১৮ মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কেউ জানিনা। এখানে ওরা সবল প্রার্থী আমরা দুর্বল প্রার্থী। আমাদের হয়রানি করার জন্য করতেছে। অভিযোগ করলে সমস্যা কি??
আপনি যদি অভিযোগের সত্যতা পান ইয়া করেন…বলে কল কেটে দেন।
পরবর্তীতে অন্য একটি নাম্বার দিয়ে কল দিলে তার স্ত্রী পুকুরে বিষ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন হ্যাঁ… আমরা দিয়েছি।
কিন্তু আবার পরে গোপন করে বলেন আমরা বিষ দিতে যাব কেন? কে বিষ দিছে আমরা জানিনা! এভাবে কথা বলার পরই একপর্যায়ে ফোন কেটে দেয়।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।