মোবারক হোসেনের বয়স ৩৮ বছর। দীর্ঘ তিন বছর ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে একটি বেসরকারি হজ এজেন্সি রিলেশনশিপ পদে চাকরিরত ছিলেন। সম্প্রতি মোবারক হোসেন তার চাকরিজনিত একটি সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে। অফিসের হিসাবে ৩ লক্ষ টাকার গরমিল করার কারণে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি গোপন করে, পুরো বছরের হিসাবের কাজ বাসায় শুরু করে দেন মোবারক হোসেন। রাতে খাবার টেবিলে তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রীর স্টোর থেকে আনা বাজারের মধ্যে দোকানী ভুলবশত তিন হালি ডিমের পরিবর্তে চার হালি ডিম দিয়ে দিয়েছে। মানে এক হালি ডিম অতিরিক্ত দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মোবারক অতিরিক্ত ডিমের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কয়েকদিন পরে মোবারক জানতে পারে চার হালি ডিমের মধ্যে এক হালি ডিম নষ্ট। ফেরত দেওয়ার ভাবনায় দোটানায় পড়ে যায় মোবারক হোসেন। নষ্ট এক হালি ডিমের টাকা সে কি ফেরত দিবে! সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার কারণে মোবারকের কয়েকজন ক্লায়েন্টের কাগজপত্র নিয়ে হয় শুরু হয় জটিলতা। তাদের হজ সংক্রান্ত কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে মোবারককে চাপ দেয়।
মোবারক মানসিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ভাটা পড়তে থাকে নিজের সৎ এবং সততার পুঁজি করা আত্মবিশ্বাস। একদিন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে মোবারক উপলব্ধি করে সৎ এবং সততার পথভ্রষ্ট করে দাঁড়িয়েছে অর্থ। তিনি কি পারবে সৎ থাকতে?
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।