এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়া গেছে আরও ১২০ বাংলাদেশি কর্মী। চলতি বছর ইপিএসের আওতায় ৪৫২ জন বাংলাদেশি দেশটিতে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফ্রেবুয়ারি) সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। দূতাবাস জানায়, ইপিএসের আওতায় মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছে ১২০ জন কর্মী।
চলতি বছর ইপিএসের আওতায় গত ৩ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়া যায় ৯২ জন বাংলাদেশি। গত ২৫ জানুয়ারি দেশটিতে যায় ১২০ জন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে যায় আরও ১২০ জন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৮ হাজার কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছেন।
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া।
ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।