আরিফুল ইসলাম | হরিণাকুণ্ডুঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক গৃহবধূর যৌন হয়রানি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী লম্পট মুক্তার হোসেন লাবু (৪৫)গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ ফ্রেব্রয়ারি) সকালে ভায়না মীর পাড়া আতিকুরের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়।

মুক্তার হোসেন লাবু উপজেলার এক নং ভায়না ইউনিয়নের ভায়না মীরপাড়া গ্রামের ইনতাজ আলীর ছেলে।ও ভুক্তভোগী গৃহবধূ একই গ্রামের বাসিন্দা।

শ্লীলতাহানি ও হত্যা চেষ্টার স্বীকার হওয়া গৃহবধূ জানান, লম্পট মুক্তার হোসেন লাবু দ্বীর্ঘদিন ধরে হত্যার ভয়ভীতি ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে।বিভিন্ন সময়ে আমার শরীরে হাত দেয়ার চেষ্টা করে।আমি যেখানেই যায় তিনি সব সময়ে আমার পিছে পিছে লেগে থাকে।আমি তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে টাকার লোভ দেখায় এবিষয়ে আমি যদি কাউকে কোনো কিছু বলি আমার স্বামীকে হত্যার হুমকী দেয়।

গত মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি সকালে গৃহবধুর শাশুড়ী বাড়ির বাইরে কাজে ব্যাস্ত থাকলে ঐ ফাঁকে লম্পট মুক্তার হোসেন লাবু গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে। তখন গৃহবধু ঘরের বাইরে ছিল। পরে ঘরের দরজা ও বৈদ্যুতিক বাতি আলো বন্ধ করতে গেলে। এ সময় অভিযুক্ত লাবু গৃহবধুকে একা পেয়ে তার বুকের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং মুখ চেপে ধরে।

তার পরনে থাকা ওড়না দিয়ে হাত পা মুখ ও মাথার ভিতর চট্টের বস্তুা দিয়ে বেধে তার শরীলের বিভিন্ন স্থানে জোরপূর্বক হাত লাগাতে থাকে। জোর জবরদস্তীর এক পর্যায়ে তার চিৎকারে লোজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে জায়।ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বলেন,আমি কাজের তাগিদে বাইরে ছিলাম। বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার বিষয় জানতে পারি।

সরেজমিনে গেলে আলাউদ্দিনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন জানান,
মোক্তার হোসেন লাবুর স্ত্রী সাবেক মহিলা মেম্বার আম্বিয়া
হঠাৎ ঐ দিন সকালে আমাদের বাড়িতে এসে বলে রত্না কি বাড়ি আছে,তিনি আরও এদের বাড়িতে আসতে আমার ভয় লাগছে। আম্বিয়া বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে এবং রত্না খাতুনের এই অবস্থা দেখে আশ পাশের লোকজনকে
ডাকাডাকি করলে বাড়ির লোকজনের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে রাবেয়া(ছদ্মনাম)
গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে ফিজিক্যাল এসাইনমেন্ট নিয়ে ভর্তি হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রুগীর শারীরিকভাবে উন্নতি না হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিছুদিন পরে ঐ রুগীটি
গত (বৃহস্পতিবার) ২ ফ্রেব্রুয়ারি সন্ধা ৭টা ৪৫ মিনিটে
হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হয়। রুগীর অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে।

উপজেলার ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হুদা তুষার জানান,এটা সম্পূর্ণ গৃণীত ও জঘন্য কাজ।আইয়্যামে জাহেলিয়া যুগের মতো বরবরতা এটা মেনে নেওয়া যায় না।

হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান,ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে গত বুধবার ১ ফ্রেব্রয়ারি থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ১০ পেনালকোড ৩২৩/৫০৬.মামলা করেছেন। আসামী লাবুকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর যাতে কোনও রুপ অসুবিধা না হয় সেজন্য আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যেরা