তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে অংশ নিতে বাংলাদেশের ৪৬ সদস্যের উদ্ধারকারী দল বুধবার রাতে বিমানে ঢাকা ছেড়েছে। উদ্ধারকাজে ব্যবহার্য সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে গেছেন তাঁরা। এ দলে সেনাবাহিনীর ২৪ জন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বুধবার পুরান ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজের জন্য তুরস্ক সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে সম্মিলিত সাহায্যকারী দল পাঠানোর নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী উদ্ধারকারী দল পাঠানো হচ্ছে। এ দলে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য রয়েছেন। তুরস্কে তাঁদের সাত দিন থাকার কথা রয়েছে। তবে অবস্থা বুঝে সময় বাড়ানো হতে পারে।
ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কতটুকু- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় তাঁরা বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা, জনবল বৃদ্ধি ও তাঁদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে। তবে দেশে যেভাবে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে, সেটা সত্যিই ঝুঁকির বিষয়। তিনি বলেন, ঢাকায় মাটির নিচে সুয়ারেজ ব্যবস্থা, গ্যাসলাইন ব্যবস্থা আছে। ভূমিকম্প হলে এগুলো কী হবে? সেবামূলক এসব ব্যবস্থাই জীবননাশের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে বিপর্যয়ের সময় গ্যাসলাইন বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।