আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো অসাংবিধানিক দাবি মেনে নেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপির অসাংবিধানিক কোনো দাবির বিষয়ে ছাড় দেবে না সরকার। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এমন মন্তব্য করেন। সভায় উপস্থিত একাদিক নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপির ভোটচুরির বিষয়গুলো জনগণের সামনে বেশি বেশি তুলে ধরতে দলের নেতাদের পরামর্শ দেন।

আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করেছিল, কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। অল্প কয়েকদিনের মাথায় আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সে সরকারের পতন ঘটানো হয়। বিএনপি যে বলে- খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সেটা তাদের জন্যই লজ্জাজনক। কারণ ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন এদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের ৬ উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৫৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। রিপোর্ট দেখে ও সেই সঙ্গে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দলীয় সূত্র জানায়, বিদ্রোহী কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়-প্রসঙ্গক্রমে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গ উঠে। তখন শেখ হাসিনা বলেন, এসব বিষয়ে বিএনপিকে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। কারণ তারা যেটা চাচ্ছে সেটা অবৈধ বিষয় চাচ্ছে। তারা সংবিধান লংঘন করে দাবি জানাচ্ছে। সুতরাং এগুলো মেনে নেওয়া হবেনা।

সভায় আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বিষয়ে আলোচনা হয়। কোটালীপাড়া পৌরসভার নির্বাচন থাকায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা তা নিয়ে কথা হয়। ইসির সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে বৈঠকে জানানো হয়- পৌরসভার নির্বাচনী এলাকার সীমানার বাইরে জনসভা হলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসভা নির্বাচনী এলাকার বাইরে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আশেপাশের এলাকায় সংসদ সদস্যদের নেতাকর্মীসহ জনসভায় যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দেন।