বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উলাহ বুলু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে পাকিস্তান দাওয়াত পেলেও বাংলাদেশ এবারও দাওয়াত পায়নি। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। দেশে গণতন্ত্র থাকলে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পেত।বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন। বুলু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল, সেখানেও বাংলাদেশকে ডাকেনি। এ বছরও গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়। গণতন্ত্র হরণ করে দেশ চালাচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দুদকের সাবেক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার সরকারের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কিনা? দুদকের ৯ নম্বর আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, তারা সরকারের কেনো লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে কী কারণে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হলো? তার একটাই সফলতা খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া, যে মামলার কোনো ক্লু নেই, কোনো প্রমাণ নেই। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে সেই মামলা দিয়ে, পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে।’
বুলু বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তারা নাকি রাজপথ থেকে উঠে এসেছে। অথচ তাদের এত নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হলো? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।