টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এক নারীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সীমান্ত সরকার পরিমল (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সীমান্ত সরকার পরিমল শহরের প্যারাডাইসপাড়া এলাকার পলান সরকারের ছেলে। মৃত্যুর আগে সীমান্ত তার ফেসবুক আইডিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেন এবং বিথী নামে এক নারীর ছবি দিয়ে লেখেন— ওরা আমাকে বাঁচতে দিল না। শেষ পর্যন্ত আমাকে মরতে হলো। পারলে আপনারা ওদের বিচার করুন।
এর পরই সীমান্ত সরকার পরিমল ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জানা যায়, নিহত ব্যবসায়ী সীমান্ত সরকার বন্ধু সালেহ মোহাম্মদ ইথেনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নেন। সেই টাকার জন্য প্রায় সময় সীমান্তকে চাপ প্রয়োগ করতেন ইথেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ী সীমান্ত সরকার বিথী নামে ওই নারীকে নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে আপত্তিকর কথা লেখেন।
এ জন্য ওই নারী সীমান্তর বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা করেন। একদিকে পাওনাদারের টাকার জন্য চাপ, অন্যদিকে মামলা। এ কারণেই তিনি (সীমান্ত) আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজন।
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেন জানান, তার কাছ থেকে সীমান্ত ৩৫ লাখ টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন হলেও সেই টাকা পরিশোধ না করেই তাকে না জানিয়ে সীমান্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে তিনি জানতে পেরে সীমান্তর স্ত্রীর কাছে টাকা না দিতে পারলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তার নামে লিখে দিতে বলেন। রোববার অথবা সোমবার সেই প্রতিষ্ঠান লিখে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্ত আত্মহত্যা করবেন এটি ভাবতে পারেননি তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।