নতুনধারার রাজনীতির প্রবর্তক কলামিস্ট মোমিন মেহেদীর রচিত ‘ভাষ্কর্য এপিঠ ওপিঠ’ এবার একুশে বইমেলায় আসা অন্যতম আলোচিত গ্রন্থ। গতানুগতিক প্রেম-ভালোবাসার গল্প-কবিতা-ছড়া না হওয়ায় এই গ্রন্থটির প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ ছিলো শুরু থেকেই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সমাজ-সভ্যতার আলোকে রচিত ‘ভাষ্কর্য এপিঠ ওপিঠ’ সকল শ্রেণির পাঠকদের জন্য সহজলভ্য করতে আকারে ছোট করলেও সংক্ষেপে বিশদ বর্ণনা নিয়ে এসেছেন মোমিন মেহেদী।

১৯৯৫ সাল থেকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তরসহ বিভিন্ন কাগজে। তাঁর ৬৫ তম গ্রন্থ ‘ভাষ্কর্য এপিঠ ওপিঠ’ উৎসর্গ করা হয়েছে দৈনিক যুগান্তর-এর সম্পাদক সংবাদযোদ্ধা সাইফুল আলম, বরেণ্য সংস্কৃতিজন সৈয়দ দুলাল, সংবাদযোদ্ধা ও সঞ্চালক সোমা ইসলাম, সংবাদযোদ্ধা-কবি আশরাফুল ইসলাম, সংবাদযোদ্ধা আখতার ফারুক শাহীন, সংবাদযোদ্ধা শামসুল হুদা, আবৃত্তিশিল্পী কানিজ আফরোজ রীনা, আবৃত্তিশিল্পী সুলতানা শাহ্রিয়া পিউ. সংগঠক ও সংবাদযোদ্ধা এফএম শাহীন এবং সংগঠক ও সংবাদযোদ্ধা বাণী ইয়াসমিন হাসিকে।

‘ভাষ্কর্য এপিঠ ওপিঠ’ প্রসঙ্গে মোমিন মেহেদী বলেন, সারাদেশে যখন ভাষ্কর্য ইস্যুতে দুটি ভাগে বিভক্ত মানুষ; তখন তাদের মধ্য থেকে একটি বড় অংশ যেন এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকে, সেই লক্ষ্যে রচিত এই গ্রন্থটি পড়লে এবং যুক্তি তর্ক নিয়ে ভাবলে যে কেউ ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে বলে বিশ^াস করি। কেননা, ইসলাম পূর্ববর্তি সময় আর বর্তমান এক নয়। আর একারণেই ইউটিউবিং করে জনপ্রিয় ইসলামী আলেমগণ টেলিভিশন হারাম, ক্যামেরা-স্মার্ট মোবাইল হারাম, ভিডিও বা ছবি হারাম, মার্সিডিজ গাড়ি হারাম না বলে তা বেশি বেশি ব্যবহার করে সমাজ বির্নিমাণে ভূমিকা রাখছেন।

এমন অনেক কারণেই আমি মনে করি ‘ভাষ্কর্য এপিঠ ওপিঠ’ সবার পাঠ করা প্রয়োজন। তাতে করে অনেক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবে বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অন্যান্য ধর্ম বা উদারচিন্তার পাঠকসমাজ। বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডবাংলা। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার লিটলম্যাগ চত্বরের ৭২ নম্বর স্টলে ও রকমারি ডটকমসহ সকল অনলাইন শপে।