সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বকেয়া বেতন-বোনাস ও বৈশাখী উৎসবভাতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিইউজে কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদসভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, প্রতি বছর ঈদের আগে সাংবাদিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে তালবাহানা করা হয়। পবিত্র রমজানের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই বেতন পরিশোধ করেনি।
সামনে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের বোনাস প্রদানের বিষয়টি আইনসিদ্ধ। একই সঙ্গে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে ভাতা দেওয়ার সরকারি নীতি রয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, আমরা আশা করছি, দেশের বিদ্যমান আইনুযায়ী অন্য পেশার মতো সাংবাদিকরাও যথাসময়ে বকেয়া বেতন বুঝে পাবেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ন্যায্য বোনাস পাবেন ও সরকারি নীতি অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ভাতা পাবেন। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সভা থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।
সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের ন্যায্য পাওনা বেতন, ঈদ বোনাস ও বৈশাখীভাতা পরিশোধ করবে না ডিইউজে সেসব প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।
ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি এমএ কুদ্দুস, সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক এসএম সাইফ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নারীবিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া অনু, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুজিব মাসুদ, দুলাল খান, আসাদুর রহমান আসাদ, মহিউদ্দিন পলাশ, রেহানা পারভীন, কুদ্দুস আফ্রাদ, আনোয়ার হোসেন, শফিক বাশার প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।