ঐতিহাসিক স্থান এবং ঐতিহাসিক খাবারের জন্য পুরান ঢাকা সবসময়ই বিখ্যাত।একই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার ইফতার বাজারগুলোও। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাহারি ইফতারের আয়োজনে মুখরিত পুরান ঢাকা।
পুরান ঢাকার ইফতারের এই ঐতিহ্য প্রায় চারশ বছরের।পুরান ঢাকার চকবাজার, নারিন্দা,ধূপখোলা,নাজিরাবাজার এবং রায়সাহেব বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা চমকপ্রদ ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
পুরান ঢাকার জনপ্রিয় ইফতার বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রাচীন চকবাজার ইফতার বাজার।
চকবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইফতার আইটেম ‘বড় বাপের পোলায় খায় ঠোঙ্গা বইড়া লইয়া যায়’ । ৩৬ টি উপকরনের সমন্বয়ে এটি তৈরি করা হয়।এছাড়াও রয়েছে আস্ত মুরগির কাবাব,বটি কাবাব,মোরগ মুসাল্লাম,আস্ত খাসির রোস্ট,জালি কাবাব,কোয়েল পাখির রোস্ট,কবুতরের রোস্ট,জিলাপি শাহী জিলাপি,সুতি কাবাব,হালিম,দইবড়া,হালুয়া,কাশ্মিরি শরবত ইত্যাদি।
ইফতার ব্যবসায়ী মো.কামাল বলেন,জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারনে উৎপাদন খরচও বেড়েছে।তাই ইফতার সামগ্রীর দামও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।কিছু কিছু খাবারের দাম একই রেখে আকারে ছোট করা হয়েছে। কিন্তু খাবারের মান অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা রাহাত আকন্দ বলেন,ইফতার নেয়ার জন্য প্রায় এখানে আসি। তবে গত বছরের চেয়ে এই বছর খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি।
মাহে রমজানের শেষের দিকে বেশ জমজমাট ইফতার বাজারগুলো।ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হরেক রকম ইফতার সামগ্রীর জন্য পুরান ঢাকায় ছুটে আসেন ভোজনরসিকরা।দাম বেশি হলেও খাবারের মানে সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।