জান্নাতের রয়েছে বিভিন্ন দরজা, মুমিনের আমল অনুযায়ী মুমিন সেই দরজাগুলো দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত দ্বারাও বোঝা যায় যে জান্নাতের বহু দরজা রয়েছে।
কেননা পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলো জান্নাতের দরজার আলোচনায় ‘আবওয়াব’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ দরজাসমূহ। রাসুল (সা.)-এর হাদিসের মাধ্যমেও বোঝা যায় যে জান্নাতের কয়েকটি দরজা রয়েছে।
তাঁর একটি হাদিসে তিনি এর সংখ্যাও বলে দিয়েছেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে আর বলে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল’, তার জন্য বেহেশতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা করে প্রবেশ করবে। (নাসায়ি, হাদিস : ১৪৮)
আরেক হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা, এটাই উত্তম। অতএব যে নামাজ আদায়কারী, তাকে নামাজের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ, তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে।
যে সিয়াম পালনকারী, তাকে রাইয়্যান দরজা হতে ডাকা হবে। যে সদকা প্রদানকারী, তাকে সদকার দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবু বকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কোরবান হোক, সকল দরজা হতে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৭)
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।