পুরুষ আসক্তি ও যৌন ঈর্ষার ফাদে আটক। আসক্তির কারনে নিজের ভাগ ছাড়তে পারে না। যৌন ঈর্ষার কারনে পরের ভাগ ভোগ করতে পারে না। জীবনকে উপভোগ করবেন কেমনে?
যৌন ঈর্ষার ফাদ থেকে বেরিয়ে না আসলে পরকীয়া করা সম্ভব নয়।
যৌন ঈর্ষার কি??
আপনার বউকে অন্য ছেলের সাথে দেখলে আপনার যদি কষ্ট লাগে সেটাই যৌন ঈর্ষা।
কিন্তু আপনি কি জানেন এই কষ্ট লাগাও হলো একটা ফাঁদ। আপনিও অন্যের স্ত্রীর সাথে ফুর্তি করতে পারবেন না।
এই কষ্ট লাগা থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে ফুর্তি করা সম্ভব নয়।
কল বন্ধ করে পানি খুঁজলে লাভ কি?
সবার যদি নিজের বউকে অন্য পুরুষের সাথে দেখলে কষ্ট লাগে। কিন্তু অন্যের বউকে দেখলে ফুর্তি লাগে। তবে কারো পক্ষেই অন্যের বউয়ের সাথে ফুর্তি করা সম্ভব নয়।
১) মেয়েরা পরকীয়া করলে ছেলেরা ডিভোর্স না দিয়ে খুন করে।
খাইরুল সুন্দরী : আমার একটা হাত কেটেছো। এটাকে শাড়ির আঁচলের নীচে লুকিয়ে রেখে তোমার সেবা করবো। তবুও আমাকে মাইরো না। তুমি চাইলে আরো বিয়ে করো। নারী নিয়ে ফুর্তি করো।
ফেরদৌস: তুই আমাকে অন্তরে যে আগুন লাগাইছস। তরে না মারলে আমার বুকের আগুন দূর হইবে না।
কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। এটা নিয়ে জিদ করে বসে থাকা ও সহিংসতা করা ঠিক না। কেননা প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না।
যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। তাই বিকল্প অপশনকে এনজয় করেন।
আরে ভাই, প্রকৃতিতে সবকিছু পারফেক্ট/মনমতো হয় না। বিকল্প অপশন গ্রহন না করে জিদ বজায় রাখলে দুখ/সহিংসতা ছাড়া কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
আমাদের উচিত বিকল্প অপশনকে এনজয় করা। প্রকৃতিকে মেনে নেওয়া।
২) ছেলেরা চেয়েছিল সতী নারী ও বহুগামিতা। হচ্ছে উল্টোটা। কিন্তু কেন? প্রাকৃতিক বন্টন উল্টো। যুবতী নারীর সংখ্যা ৩% কম।
সতী নারী চাওয়া প্রকৃতিক নয়। কেননা ছেলেরাই দাবি করে আমরা প্রাকৃতিকভাবে বহুগামি। তাহলে মেয়েরা সতী থাকবে কেমনে?
ছেলেদের বহুগামিতা যদি প্রাকৃতিক হয়ে থাকে তবে সতী নারী না পাওয়াও প্রাকৃতিক। বহু মেয়েই অসতী যা আমরা টের পাই না।
যেহেতু ছেলেদের মধ্যে বহুগামিতা আছে সেহেতু মেয়েদের জন্যে সেক্স সহজ। ফলে মেয়েদের জন্যে সতী থাকাও কঠিন।
যেহেতু মেয়েদের সতী নারী থাকা কঠিন সেহেতু ছেলেদের সতী নারী পাওয়া কঠিন।
ছেলেদের বহুগামিতা থাকায় প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় ছেলেদের জন্যেই সেক্স করা কঠিন।
ছেলেদের জন্যে সতী নারী পাওয়া কিংবা বহু নারীর সংস্পর্শ পাওয়া দুটিই কঠিন। মেয়েদের জন্যে সতী ছেলে পাওয়া কিংবা বহু পুরুষের স্পর্শ পাওয়া দুটিই সহজ।
তাহলে খাইরুল সুন্দরী সিনেমায় পরকীয়া সন্দেহে নায়ক ফেরদৌস মৌসুমীকে কুপিয়ে হত্যা করা ভুল নয় কি??
আর এইটা যদি প্রাকৃতিক বন্টন ও প্রকৃতির নিয়মই হয়ে থাকে তবে অসতী বউকে কুপিয়ে মেরে লাভ কি? বুদ্ধিমানের কাজ হবে নিজের যৌন ঈর্ষার বলি না হয়ে অসতী বউ/ নারীকে উপভোগ করা।
প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না। আমাদের উচিত প্রকৃতিকে পারফেক্ট করা নয়। বরং উপভোগ করা। নইলে নিজের যৌন ঈর্ষার বলি নিজেকেই হতে হবে। নিজেই বঞ্চিত হবেন।
৩)ফলের চেয়ে যদি বাদুড় বেশি হয়। তবে আমাদের উচিত হবে বাদুড়ের খাওয়া অংশটুকু ফেলে দিয়ে বাকি ফলটুকু খেয়ে ফেলা। আর যদি ফলটা না খান তবে নিজেই বঞ্চিত হলেন।
পুরুষের বহুগামিতা বেশি থাকায় মেয়েদের জন্যে সেক্স সহজ। ফলে মেয়েদের জন্যে সতী থাকা কঠিন। ফলে ছেলেদের সতী নারী পাওয়াও কঠিন। বহুগামিতাও কঠিন।
এখন যদি আপনি অসতী নারী না পেতে চান। তবে আপনি সতীও পেলেন না। অসতীও পেলেন না। কোনটাই পাবেন না। নিজের যৌন ঈর্ষার বলি নিজেকেই হতে হবে। নিজেই বঞ্চিত হবেন।
পুরুষ পরিবার তৈরি করেছে নারীকে বন্দি করে সন্তানের জিন নিজের কিনা তা নিশ্চিত করার জন্যে। নিজে পরিবারে বন্দি হওয়ার জন্যে নয়। তাই তো ধর্মগ্রন্থগুলি স্ত্রীকে না জানিয়ে পুরুষের বহুবিবাহের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে।
কিন্তু নারীকে বন্দি করতে গিয়ে পুরুষ নিজেই এক নারীতে বন্দি হয়ে পড়েছে। এখন আবার পরকীয়া করতে ছটফট করছে। কিন্তু কেন?
কারন সব পুরুষই তার স্ত্রীকে বন্দি করেছে। তাহলে তো আপনার ভাগে আপনার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ রইল না।
আপনি একই সাথে নিজের স্ত্রীর সতীত্ব বজায় রাখতে চান আবার অন্যের স্ত্রীর সাথে ফুর্তি করতে চান এটা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। কেননা অন্যের স্ত্রীকেও তার স্বামী আপনার মতো করে বন্দি করে রাখবে। ফলে আপনি আপনার যৌন ঈর্ষার ফাঁদে নিজেই আটক।
আমার টা বাদে ফিলোসোফি আপনাকে লুপে ফেলবে। কেননা সব ছেলেই আমারটা বাদে বলবে। তাহলে তো আপনার বউ বাদে কেউ অবশিষ্ট নেই। আপনার নিজের ফাদে নিজে আটকা।
যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তখন পুরুষ তৈরি করে পতিতালয়। পুরুষ একই সাথে পরিবারের সদস্য আবার পতিতালয়েও। পরিবারে সে সতী নারী ভোগ করে ও পতিতালয়ে বহুগামিতা পূরন করে।
কিন্তু যারা একই সাথে সতী নারী ও বহুগামিতা পূরন করতে চায় তাদের জন্যে যুদ্ধ ব্যতীত কোন উপায় খোলা থাকে না। যুদ্ধের মাধ্যমে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বী কমে আসে। নারীকে স্ত্রীর কাছাকাছি সম্মান দিয়ে দাসী হিসেবে গ্রহন করা হয়।
তাছাড়া নারীর সংখ্যা পুরুষের বহুগুণ বেশিও নয় যে বিবাহ করে বহুগামিতা পূরন সম্ভব। এটাও চিটিং হবে। কেননা গরিব ছেলেরা বঞ্চিত হবে।
কারন বিবাহযোগ্যা নারীর সংখ্যা (যাদের বয়স ৬০ এর কম)বিশ্বজুড়ে পুরুষের তুলনায় ৩% কম।মানে একটি করে বিয়ে করলেও এক পর্যায়ে দেখা যাবে পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না
১) পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ছেলেরা অসতী নারী একদম পছন্দ করে না। আবার যেকোন নারীকে সেক্স করে অসতী করে দেওয়ার জন্যে ছটফট করে।
যেহেতু ছেলেরা জিনগত কারনে অসতী মেয়ে ঘৃণা করে সেহেতু মেয়েরা স্বামী ছাড়া অন্য কারো কাছে সতীত্ব নষ্ট করতে চায় না।
তার মানে মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট করতে না পারলে ছেলেদের মনে সেক্স করতে না পারার দুখ তৈরি হয়।
আর মেয়েরা সেক্স করে সতীত্ব নষ্ট করে ফেললে ছেলেদের মনে ব্যবহৃত খারাপ মেয়ে পাওয়ার জন্যে দুখ তৈরি হয়।
আপনি চান সবগুলি জামা পরিধান করতে। আবার চান সবগুলি জামা অব্যবহৃত থাকুক
আপনি নিজে পরকীয়া করতে চান কিন্তু আপনার স্ত্রীকে সকল প্রকার পরকীয়া থেকে দূরে রাখতে চান এতে আপনার ১২০% এনার্জি ব্যায় হয়ে আপনি ক্ষয় হয়ে যাবেন। আপনার যৌন ঈর্ষা আর জিদের বলি হবেন আপনি নিজে।
২) সন্তানের জিন নিজের কিনা এটা নিশ্চিত করতে ছেলেরা “আমারটা বাদে ফিলোসোফি” মেনে চলার কারনে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে যৌনতা এতো কঠিন।
ফলে ছেলেরা বাইরে মেয়েদের সাথে ফুর্তি করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
কিন্তু সেক্সুয়াল জেলাসির/যৌন ঈর্ষার কারনে নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষ থেকে দূরে রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যেহেতু পুরুষ সদস্যরা তাদের স্ত্রী সদস্যকে অন্য ছেলে থেকে আগলে রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাই যৌনতা কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক।
ফলে চেষ্টা করতে করতেই ছেলেদের জীবন শেষ হবে। ফলাফল শূন্য। এবং ছেলেদের জীবন ক্ষয় হবে
ছেলেরা টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে রোমান্টিক টাইপের হয়। ৬০ ছেলে চায় অন্যের বউয়ের সাথে ফুর্তি করতে। আর ০.৫% ছেলে চায় নিজের বউকে সেই সুযোগ দিতে। ফলে যৌনতা ও নারী সাহচর্য বঞ্চিত হয়ে সারাক্ষণ সেক্স মাথায় ঘুরে।
৩) যৌন ঈর্ষা জনিত কারনে তো নারীর সতীত্ব রাখতে গেলো তো “আমারটা বাদে” ফাঁদে পড়বেন। যখন বউ মনমতো হবে না তখন অন্যের বউ ভোগ করতে পারবেন না। কেননা সবাই যখন বলবে “আমারটা বাদে” তখন আপনার বউ বাদে কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
মনে রাখবেন প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না।
দ্বিতীয় বিয়ে করবেন তো নারীর সংখ্যা এমনিতেই ৩% কম। গরিব ছেলের অভিশাপ পাবেন।
আবার আসক্তিজনিত কারনে ১ম বউকে ছাড়তেও পারবেন না। কেননা ছেলেদের সংসারে আসক্তি বেশি। তাই মন থেকে বউকে সরাতে পারে না।
আবার ছেলেদের নতুন প্রিয় বস্তু গ্রহন করার মানসিক শক্তি না থাকায় নতুন প্রিয় বস্তু গ্রহনও করতে পারবেন না। ফলে জিদের বশবর্তী হয়ে নারী নির্যাতন করবেন। আর সমাজে এটাই ঘটছে। প্রকৃতিতে কেবল সুখ আর সুখ। মানুষ যৌন ঈর্ষা আর মানসিক শক্তি কম থাকার কারনে সুখ নিতে পারে না। পুরুষের যৌন ঈর্ষার ফাদে নারী পুরুষ উভয়ই বলি হয়ে যাচ্ছে।
৪) মেয়েদের বুকে অন্য পুরুষ হাত দিলে বুক পঁচে যায় না কিন্তু আপনার যৌন ঈর্ষার কারনে আপনি নিজেই “আমারটা বাদে” ফাদে পড়বেন।
সবাই যদি চায় “আমারটা বাদে” বলে তাহলে তো আপনার জন্যেও ভালো কিছু অবশিষ্ট নাই।
কাম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে বিয়ে করতে যদি ৪০ বছর পেরিয়ে যায় তবে জীবনকে উপভোগ করবেন কেমনে? আরেকটি ব্যপার হলো ভালো বুক যে পাবেন তার গ্যারান্টি কোথায়?
আপনার ভাগ্যে যে কুৎসিত মেয়ে পড়বে না। তার গ্যারান্টি কই।
তখন তো চাইলেও অন্য আরেকটি সুন্দরী মেয়েকে উপভোগ করতে পারবেন না। কেননা ঐ পুরুষও তার স্ত্রীর সতীত্ব রাখতে তৎপর হবে।
এই সমস্যা এড়াতে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন? এটাও ভুল।যুবতী নারীদের সংখ্যা এমনিতেই পুরুষের ৩% কম। ফলে দ্বিতীয় বিয়ে করা মানে অন্য অপেক্ষাকৃত ছেলেকে ভুক্তভোগী করে দেওয়া। তাই সবচেয়ে সহজ উপায় যৌন ঈর্ষা ছেড়ে দেন। ব্যাস সমস্যা সমাধান।
খামাকা দুনিয়াকে কঠিন করে লাভ কি? কই নারী তো পৃথিবীকে এতো কঠিন করে নি।
সতী নারী ও বহুগামিতা দুটি একসাথে পূরন সম্ভব নয়। পুরুষের মাথায় একটু যদি বুদ্ধি থাকতো তবে ব্যপারটি বুঝতে পারতো। কিন্তু হরমোনের চাপে পুরুষের মাথাটি যে নেই এখানেই সমস্যা। হরমোনের চাপ নারীরও আছে। তবে মাথা বিক্রি হয় নাই।
নারী জানে কিভাবে পরকীয়া করে ২য় সংসারে গিয়ে সুখী হতে হয়।
মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে (Love) পড়ে। আর ছেলেরা মেয়েদের মোহে (infatuation) পড়ে। তাই টাকা দিয়ে ভালোবাসা আদায় করতে যায়। এতোটা মোহে পড়ে না মেয়েরা।তাই পরিস্থিতির কারনে স্বামীর প্রতি ঘৃণা জন্মালে মেয়েরা ডিভোর্স দেয়। স্বামীকে ভুলে গিয়ে সুখী হতে চায়।
best way to get even with someone who has left you is to meet someone new and become happy again.
Plotting for revenge and remaining jealous after many years is a formula for endless misery. (Haemin Sunim)
যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে থাকার সর্বোত্তম উপায় হল নতুন কারো সাথে দেখা করা এবং আবার খুশি হওয়া।
প্রতিশোধের ষড়যন্ত্র করা এবং বহু বছর পর ঈর্ষান্বিত থাকা অন্তহীন দুর্দশার একটি সূত্র। (হাইমিন সুনিম)
কিন্তু ছেলেরা স্ত্রীর মোহে পড়ায় স্ত্রীর প্রতি ঘৃণা জন্মালেও স্ত্রীকে মন থেকে ভুলতে পারে না। এবং নতুন সম্পর্ক শুরু করার মানসিক শক্তি ছেলেদের কম। কিন্তু জিদ ও শারীরিক শক্তি বেশি থাকায় নারী নির্যাতন ও কোপাকুপি শুরু করে।
খাইরুল সুন্দরী সিনেমায় ফেরদৌস মৌসুমীকে কুপিয়ে মারে কারন ফেরদৌসের মৌসুমীর প্রতি ছিল infatuation(মোহ)
নিজের করতে চাওয়ার প্রভাবে ছেলরা মেয়েদের পোষাপ্রাণী ভাবে এবং আসক্তির কারনে মন থেকে ভুলতে পারে না। আরে ভাই, যে জিনিস তোমাকে দুখ দিয়েছে তাকে ভুলতে না পেরে কুপিয়ে মেরে কি তুমি সুখী হতে পারবা? তুমিও তো জেলে থাকবা।
পুরুষ আসক্তি ও যৌন ঈর্ষার ফাদে আটক। আসক্তির কারনে নিজের ভাগ ছাড়তে পারে না। যৌন ঈর্ষার কারনে পরের ভাগ ভোগ করতে পারে না। জীবনকে উপভোগ করবেন কেমনে?
যৌন ঈর্ষার ফাদ থেকে বেরিয়ে না আসলে পরকীয়া করা সম্ভব নয়।
যৌন ঈর্ষার কি??
আপনার বউকে অন্য ছেলের সাথে দেখলে আপনার যদি কষ্ট লাগে সেটাই যৌন ঈর্ষা।
কিন্তু আপনি কি জানেন এই কষ্ট লাগাও হলো একটা ফাঁদ। আপনিও অন্যের স্ত্রীর সাথে ফুর্তি করতে পারবেন না।
এই কষ্ট লাগা থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে ফুর্তি করা সম্ভব নয়।
কল বন্ধ করে পানি খুঁজলে লাভ কি?
সবার যদি নিজের বউকে অন্য পুরুষের সাথে দেখলে কষ্ট লাগে। কিন্তু অন্যের বউকে দেখলে ফুর্তি লাগে। তবে কারো পক্ষেই অন্যের বউয়ের সাথে ফুর্তি করা সম্ভব নয়।
১) মেয়েরা পরকীয়া করলে ছেলেরা ডিভোর্স না দিয়ে খুন করে।
খাইরুল সুন্দরী : আমার একটা হাত কেটেছো। এটাকে শাড়ির আঁচলের নীচে লুকিয়ে রেখে তোমার সেবা করবো। তবুও আমাকে মাইরো না। তুমি চাইলে আরো বিয়ে করো। নারী নিয়ে ফুর্তি করো।
ফেরদৌস: তুই আমাকে অন্তরে যে আগুন লাগাইছস। তরে না মারলে আমার বুকের আগুন দূর হইবে না।
কেন শুরুতেই পারফেক্ট হলো না। এটা নিয়ে জিদ করে বসে থাকা ও সহিংসতা করা ঠিক না। কেননা প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না।
যে বিকল্প অপশন অফার করেছে সে তো অলরেডি ক্ষতিপূরন দিচ্ছে। তাই বিকল্প অপশনকে এনজয় করেন।
আরে ভাই, প্রকৃতিতে সবকিছু পারফেক্ট/মনমতো হয় না। বিকল্প অপশন গ্রহন না করে জিদ বজায় রাখলে দুখ/সহিংসতা ছাড়া কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
আমাদের উচিত বিকল্প অপশনকে এনজয় করা। প্রকৃতিকে মেনে নেওয়া।
২) ছেলেরা চেয়েছিল সতী নারী ও বহুগামিতা। হচ্ছে উল্টোটা। কিন্তু কেন? প্রাকৃতিক বন্টন উল্টো। যুবতী নারীর সংখ্যা ৩% কম।
সতী নারী চাওয়া প্রকৃতিক নয়। কেননা ছেলেরাই দাবি করে আমরা প্রাকৃতিকভাবে বহুগামি। তাহলে মেয়েরা সতী থাকবে কেমনে?
ছেলেদের বহুগামিতা যদি প্রাকৃতিক হয়ে থাকে তবে সতী নারী না পাওয়াও প্রাকৃতিক। বহু মেয়েই অসতী যা আমরা টের পাই না।
যেহেতু ছেলেদের মধ্যে বহুগামিতা আছে সেহেতু মেয়েদের জন্যে সেক্স সহজ। ফলে মেয়েদের জন্যে সতী থাকাও কঠিন।
যেহেতু মেয়েদের সতী নারী থাকা কঠিন সেহেতু ছেলেদের সতী নারী পাওয়া কঠিন।
ছেলেদের বহুগামিতা থাকায় প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় ছেলেদের জন্যেই সেক্স করা কঠিন।
ছেলেদের জন্যে সতী নারী পাওয়া কিংবা বহু নারীর সংস্পর্শ পাওয়া দুটিই কঠিন। মেয়েদের জন্যে সতী ছেলে পাওয়া কিংবা বহু পুরুষের স্পর্শ পাওয়া দুটিই সহজ।
তাহলে খাইরুল সুন্দরী সিনেমায় পরকীয়া সন্দেহে নায়ক ফেরদৌস মৌসুমীকে কুপিয়ে হত্যা করা ভুল নয় কি??
আর এইটা যদি প্রাকৃতিক বন্টন ও প্রকৃতির নিয়মই হয়ে থাকে তবে অসতী বউকে কুপিয়ে মেরে লাভ কি? বুদ্ধিমানের কাজ হবে নিজের যৌন ঈর্ষার বলি না হয়ে অসতী বউ/ নারীকে উপভোগ করা।
প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না। আমাদের উচিত প্রকৃতিকে পারফেক্ট করা নয়। বরং উপভোগ করা। নইলে নিজের যৌন ঈর্ষার বলি নিজেকেই হতে হবে। নিজেই বঞ্চিত হবেন।
৩)ফলের চেয়ে যদি বাদুড় বেশি হয়। তবে আমাদের উচিত হবে বাদুড়ের খাওয়া অংশটুকু ফেলে দিয়ে বাকি ফলটুকু খেয়ে ফেলা। আর যদি ফলটা না খান তবে নিজেই বঞ্চিত হলেন।
পুরুষের বহুগামিতা বেশি থাকায় মেয়েদের জন্যে সেক্স সহজ। ফলে মেয়েদের জন্যে সতী থাকা কঠিন। ফলে ছেলেদের সতী নারী পাওয়াও কঠিন। বহুগামিতাও কঠিন।
এখন যদি আপনি অসতী নারী না পেতে চান। তবে আপনি সতীও পেলেন না। অসতীও পেলেন না। কোনটাই পাবেন না। নিজের যৌন ঈর্ষার বলি নিজেকেই হতে হবে। নিজেই বঞ্চিত হবেন।
** ২য় অংশ**
পুরুষ পরিবার তৈরি করেছে নারীকে বন্দি করে সন্তানের জিন নিজের কিনা তা নিশ্চিত করার জন্যে। নিজে পরিবারে বন্দি হওয়ার জন্যে নয়। তাই তো ধর্মগ্রন্থগুলি স্ত্রীকে না জানিয়ে পুরুষের বহুবিবাহের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে।
কিন্তু নারীকে বন্দি করতে গিয়ে পুরুষ নিজেই এক নারীতে বন্দি হয়ে পড়েছে। এখন আবার পরকীয়া করতে ছটফট করছে। কিন্তু কেন?
কারন সব পুরুষই তার স্ত্রীকে বন্দি করেছে। তাহলে তো আপনার ভাগে আপনার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ রইল না।
আপনি একই সাথে নিজের স্ত্রীর সতীত্ব বজায় রাখতে চান আবার অন্যের স্ত্রীর সাথে ফুর্তি করতে চান এটা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। কেননা অন্যের স্ত্রীকেও তার স্বামী আপনার মতো করে বন্দি করে রাখবে। ফলে আপনি আপনার যৌন ঈর্ষার ফাঁদে নিজেই আটক।
আমার টা বাদে ফিলোসোফি আপনাকে লুপে ফেলবে। কেননা সব ছেলেই আমারটা বাদে বলবে। তাহলে তো আপনার বউ বাদে কেউ অবশিষ্ট নেই। আপনার নিজের ফাদে নিজে আটকা।
যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তখন পুরুষ তৈরি করে পতিতালয়। পুরুষ একই সাথে পরিবারের সদস্য আবার পতিতালয়েও। পরিবারে সে সতী নারী ভোগ করে ও পতিতালয়ে বহুগামিতা পূরন করে।
কিন্তু যারা একই সাথে সতী নারী ও বহুগামিতা পূরন করতে চায় তাদের জন্যে যুদ্ধ ব্যতীত কোন উপায় খোলা থাকে না। যুদ্ধের মাধ্যমে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বী কমে আসে। নারীকে স্ত্রীর কাছাকাছি সম্মান দিয়ে দাসী হিসেবে গ্রহন করা হয়।
তাছাড়া নারীর সংখ্যা পুরুষের বহুগুণ বেশিও নয় যে বিবাহ করে বহুগামিতা পূরন সম্ভব। এটাও চিটিং হবে। কেননা গরিব ছেলেরা বঞ্চিত হবে।
কারন বিবাহযোগ্যা নারীর সংখ্যা (যাদের বয়স ৬০ এর কম)বিশ্বজুড়ে পুরুষের তুলনায় ৩% কম।মানে একটি করে বিয়ে করলেও এক পর্যায়ে দেখা যাবে পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না
১) পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ছেলেরা অসতী নারী একদম পছন্দ করে না। আবার যেকোন নারীকে সেক্স করে অসতী করে দেওয়ার জন্যে ছটফট করে।
যেহেতু ছেলেরা জিনগত কারনে অসতী মেয়ে ঘৃণা করে সেহেতু মেয়েরা স্বামী ছাড়া অন্য কারো কাছে সতীত্ব নষ্ট করতে চায় না।
তার মানে মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট করতে না পারলে ছেলেদের মনে সেক্স করতে না পারার দুখ তৈরি হয়।
আর মেয়েরা সেক্স করে সতীত্ব নষ্ট করে ফেললে ছেলেদের মনে ব্যবহৃত খারাপ মেয়ে পাওয়ার জন্যে দুখ তৈরি হয়।
আপনি চান সবগুলি জামা পরিধান করতে। আবার চান সবগুলি জামা অব্যবহৃত থাকুক
আপনি নিজে পরকীয়া করতে চান কিন্তু আপনার স্ত্রীকে সকল প্রকার পরকীয়া থেকে দূরে রাখতে চান এতে আপনার ১২০% এনার্জি ব্যায় হয়ে আপনি ক্ষয় হয়ে যাবেন। আপনার যৌন ঈর্ষা আর জিদের বলি হবেন আপনি নিজে।
২) সন্তানের জিন নিজের কিনা এটা নিশ্চিত করতে ছেলেরা “আমারটা বাদে ফিলোসোফি” মেনে চলার কারনে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে যৌনতা এতো কঠিন।
ফলে ছেলেরা বাইরে মেয়েদের সাথে ফুর্তি করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
কিন্তু সেক্সুয়াল জেলাসির/যৌন ঈর্ষার কারনে নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষ থেকে দূরে রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যেহেতু পুরুষ সদস্যরা তাদের স্ত্রী সদস্যকে অন্য ছেলে থেকে আগলে রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাই যৌনতা কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক।
ফলে চেষ্টা করতে করতেই ছেলেদের জীবন শেষ হবে। ফলাফল শূন্য। এবং ছেলেদের জীবন ক্ষয় হবে
ছেলেরা টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে রোমান্টিক টাইপের হয়। ৬০ ছেলে চায় অন্যের বউয়ের সাথে ফুর্তি করতে। আর ০.৫% ছেলে চায় নিজের বউকে সেই সুযোগ দিতে। ফলে যৌনতা ও নারী সাহচর্য বঞ্চিত হয়ে সারাক্ষণ সেক্স মাথায় ঘুরে।
৩) যৌন ঈর্ষা জনিত কারনে তো নারীর সতীত্ব রাখতে গেলো তো “আমারটা বাদে” ফাঁদে পড়বেন। যখন বউ মনমতো হবে না তখন অন্যের বউ ভোগ করতে পারবেন না। কেননা সবাই যখন বলবে “আমারটা বাদে” তখন আপনার বউ বাদে কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
মনে রাখবেন প্রকৃতিতে সব পারফেক্ট হয় না।
দ্বিতীয় বিয়ে করবেন তো নারীর সংখ্যা এমনিতেই ৩% কম। গরিব ছেলের অভিশাপ পাবেন।
আবার আসক্তিজনিত কারনে ১ম বউকে ছাড়তেও পারবেন না। কেননা ছেলেদের সংসারে আসক্তি বেশি। তাই মন থেকে বউকে সরাতে পারে না।
আবার ছেলেদের নতুন প্রিয় বস্তু গ্রহন করার মানসিক শক্তি না থাকায় নতুন প্রিয় বস্তু গ্রহনও করতে পারবেন না। ফলে জিদের বশবর্তী হয়ে নারী নির্যাতন করবেন। আর সমাজে এটাই ঘটছে। প্রকৃতিতে কেবল সুখ আর সুখ। মানুষ যৌন ঈর্ষা আর মানসিক শক্তি কম থাকার কারনে সুখ নিতে পারে না। পুরুষের যৌন ঈর্ষার ফাদে নারী পুরুষ উভয়ই বলি হয়ে যাচ্ছে।
৪) মেয়েদের বুকে অন্য পুরুষ হাত দিলে বুক পঁচে যায় না কিন্তু আপনার যৌন ঈর্ষার কারনে আপনি নিজেই “আমারটা বাদে” ফাদে পড়বেন।
সবাই যদি চায় “আমারটা বাদে” বলে তাহলে তো আপনার জন্যেও ভালো কিছু অবশিষ্ট নাই।
কাম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে বিয়ে করতে যদি ৪০ বছর পেরিয়ে যায় তবে জীবনকে উপভোগ করবেন কেমনে? আরেকটি ব্যপার হলো ভালো বুক যে পাবেন তার গ্যারান্টি কোথায়?
আপনার ভাগ্যে যে কুৎসিত মেয়ে পড়বে না। তার গ্যারান্টি কই।
তখন তো চাইলেও অন্য আরেকটি সুন্দরী মেয়েকে উপভোগ করতে পারবেন না। কেননা ঐ পুরুষও তার স্ত্রীর সতীত্ব রাখতে তৎপর হবে।
এই সমস্যা এড়াতে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন? এটাও ভুল।যুবতী নারীদের সংখ্যা এমনিতেই পুরুষের ৩% কম। ফলে দ্বিতীয় বিয়ে করা মানে অন্য অপেক্ষাকৃত ছেলেকে ভুক্তভোগী করে দেওয়া। তাই সবচেয়ে সহজ উপায় যৌন ঈর্ষা ছেড়ে দেন। ব্যাস সমস্যা সমাধান।
খামাকা দুনিয়াকে কঠিন করে লাভ কি? কই নারী তো পৃথিবীকে এতো কঠিন করে নি।
সতী নারী ও বহুগামিতা দুটি একসাথে পূরন সম্ভব নয়। পুরুষের মাথায় একটু যদি বুদ্ধি থাকতো তবে ব্যপারটি বুঝতে পারতো। কিন্তু হরমোনের চাপে পুরুষের মাথাটি যে নেই এখানেই সমস্যা। হরমোনের চাপ নারীরও আছে। তবে মাথা বিক্রি হয় নাই।
নারী জানে কিভাবে পরকীয়া করে ২য় সংসারে গিয়ে সুখী হতে হয়।
মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে (Love) পড়ে। আর ছেলেরা মেয়েদের মোহে (infatuation) পড়ে। তাই টাকা দিয়ে ভালোবাসা আদায় করতে যায়। এতোটা মোহে পড়ে না মেয়েরা।তাই পরিস্থিতির কারনে স্বামীর প্রতি ঘৃণা জন্মালে মেয়েরা ডিভোর্স দেয়। স্বামীকে ভুলে গিয়ে সুখী হতে চায়।
best way to get even with someone who has left you is to meet someone new and become happy again.
Plotting for revenge and remaining jealous after many years is a formula for endless misery. (Haemin Sunim)
যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে থাকার সর্বোত্তম উপায় হল নতুন কারো সাথে দেখা করা এবং আবার খুশি হওয়া।
প্রতিশোধের ষড়যন্ত্র করা এবং বহু বছর পর ঈর্ষান্বিত থাকা অন্তহীন দুর্দশার একটি সূত্র। (হাইমিন সুনিম)
কিন্তু ছেলেরা স্ত্রীর মোহে পড়ায় স্ত্রীর প্রতি ঘৃণা জন্মালেও স্ত্রীকে মন থেকে ভুলতে পারে না। এবং নতুন সম্পর্ক শুরু করার মানসিক শক্তি ছেলেদের কম। কিন্তু জিদ ও শারীরিক শক্তি বেশি থাকায় নারী নির্যাতন ও কোপাকুপি শুরু করে।
খাইরুল সুন্দরী সিনেমায় ফেরদৌস মৌসুমীকে কুপিয়ে মারে কারন ফেরদৌসের মৌসুমীর প্রতি ছিল infatuation(মোহ)
নিজের করতে চাওয়ার প্রভাবে ছেলরা মেয়েদের পোষাপ্রাণী ভাবে এবং আসক্তির কারনে মন থেকে ভুলতে পারে না। আরে ভাই, যে জিনিস তোমাকে দুখ দিয়েছে তাকে ভুলতে না পেরে কুপিয়ে মেরে কি তুমি সুখী হতে পারবা? তুমিও তো জেলে থাকবা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।