একথা সত্যি যে, মন আমাদের কথা শুনে চলে না সব সময়। তাইতো না চাইলেও মন খারাপ হয়। কিছুই আর ভালোলাগে না তখন। কাউকে সহ্য হয় না। কারও সঙ্গে কথা বলতে ভালোলাগে না। এমন আরও অনেক ভালো না লাগার সমন্বয় এই মন খারাপ। সঠিক কোনো কারণ জানা না থাকলেও, এই মন খারাপের পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কোনো ব্যাখ্যা আছে নিশ্চয়ই।

১. অন্য মানুষের অযৌক্তিক নেতিবাচক কোনো মন্তব্যে আহত হওয়া আপনার মানায় না। কেননা অন্যের অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বা কাজে আপনার হাত নেই। তাই যেচে সেগুলো গায়ে লাগানোর কিছু নেই। অন্যের নেতিবাচক চর্চা নিয়ে তাকে থাকতে দিন।

আপনি সেগুলো এড়িয়ে চলুন। মোটিভেশনাল ব্লগ ‘উইনার স্পিরিট’–এ একটি সুন্দর তুলনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘কচুপাতা যেমন পানি স্পর্শ করে না, অন্যের নেতিবাচকতা থেকেও আপনি নিজেকে একইভাবে বাঁচিয়ে রাখুন।’

২. মনে রাখবেন, ব্যথা, হতাশা আপনার সামনে এগোনোর পথের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। আপনি যদি আপনার জীবনযাত্রায় না জানেন যে ব্যথা আর হতাশার অনুভূতি কেমন, এর মানে হলো আপনার মানসিক বৃদ্ধি থমকে আছে। আপনি ঠিকভাবে এগোচ্ছেন না।

৩. আমাদের ভেতর ‘স্ট্রাগল’ বিষয়টাকে ছোট করে দেখার প্রবণতা আছে। অথচ এক স্ট্রাগলই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।

৪. সব সময় মনে রাখবেন, চারপাশে যা কিছু দেখছেন, সব ক্ষণস্থায়ী। যেকোনো সময় ‘নাই’ হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার কাজ হলো চালিয়ে যাওয়া।

৫. স্বপ্নপূরণে ‘পারফেক্ট’ সময় বলে কিছু নেই। আপনি যেকোনো সময়ে সেটি শুরু করতে পারেন। মনে রাখবেন, সাহস করে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর গুরুত্বপূর্ণ হলো সেটিকে সর্বোত্তম উপায়ে চালিয়ে নেওয়া।

সূত্র: উইনার স্পিরিট