দেশের বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী মিতা চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) যুক্তরাজ্যে তার মৃত্যু হয়। অভিনেত্রীর মেয়ে নাভিন ফেসবুকে মিতা চৌধুরীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেন, তার মা (অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী) আজ রাতে মারা গেছেন। লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন মেয়ে।
অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা নিজের ফেসবুকে মিতা চৌধুরীর সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে বলেন, আমার প্রথম টিভি নাটক ‘বরফ গলা নদী’তে মিতা চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করে ছিলাম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাট্য অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক আল মনসুর বলেন, মিতা চৌধুরী এমনই একজন শিল্পী, যাকে অনুজরা আদর্শ হিসেবে মেনে নিতে দ্বিধাবোধ করেননি কখনই।
তার শৈল্পিক ভাবনা ও সৃষ্টিশীলতা সব সময় অনুপ্রেরণা জোগায়। বরেণ্য নির্মাতা আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘অয়নান্ত’ নাটকের অভিনয়ের সুবাদে মিতা চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়।
পরে বন্ধুত্ব। তিনি হুট করে এভাবে চলে যাবেন তা কল্পনাও করতে পারিনি। সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় এই নাট্যশিল্পী দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। ২০০৬ সালে দেশে ফিরে আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন।
শুধু টিভি নাটকই নয়, মঞ্চে সূচনা ও গুড নাইট মার মতো প্রযোজনায় নিজেকে জড়িয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী গুড নাইট মার পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।