কেনিয়ায় যিশুর সাক্ষাতের আশায় ধর্মযাজকের কথায় না খেয়ে মৃত্যুবরণ করা আরও ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০৩ জনে দাঁড়াল। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শাকাহোলা জঙ্গলে তদন্ত চলাকালে আরও ১২টি মরদেহ পাওয়া যায়। ধর্মযাজক পল এনথেঙ্গ ম্যাকেঞ্জি তাঁর ভক্তদের এ জঙ্গলে অনাহারে থাকতে বলেছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা রোডা অনিয়ানচা এএফপিকে বলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবারও ওই জঙ্গলে তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে। গত ১৩ এপ্রিল প্রথম শাকাহোলা জঙ্গল থেকে যিশুর সাক্ষাতের আশায় অনাহারে দুর্বল হয়ে পড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনাহারের কারণেই শাকাহোলা জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু ছিল, যাদের শ্বাসরোধ করে বা পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে এক সময়ের ট্যাক্সিচালক থেকে ধর্মযাজক বনে যাওয়া ম্যাকেঞ্জিকে গত এপ্রিলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৩ জুলাই মোম্বাসা শহরের একটি আদালত তাঁর গ্রেপ্তারের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছ। ম্যাকেঞ্জির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাত সন্তানের জনক ম্যাকেঞ্জি ২০০৩ সালের গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চ নামের একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। কেনিয়া সরকার জানায়, ৫ কোটি জনসংখ্যার পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ৪ হাজার বেশি গির্জা রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।