সোমবার (১৭ জুলাই) বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সুজন রায় (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে কিডনি দিয়েছেন তার ছোট ভাই সুসেন রায় (৩১)। তবে অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে কিডনিদাতা ও কিডনিগ্রহীতার মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি কিডনি দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে যিনি কিডনি দিয়েছেন তার নাম সুসেন রায় নন। দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে ভাই নন। কিডনিদাতাকে গ্রিসে পাঠানো হবে— এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিনিময়ে কিডনি নেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান আইনে আপন ভাইকে কিডনি দেওয়া যায়।

তাছাড়া নিকটাত্মীয় ছাড়া কারও কিডনি নেওয়া যায় না। জানা গেছে, কিডনিদাতা বিএসএমএমইউয়ের চতুর্থ তলায় আইসিইউতে আছেন। কিডনিগ্রহীতা সাততলার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের (অস্ত্রোপচার–পরবর্তী ওয়ার্ড) আইসিইউতে রয়েছেন।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে তদন্ত কমিটির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে শোনার পর খুবই অবাক হয়েছি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে বলা যাবে আসলে ঠিক কী ঘটেছিল। জানা গেছে, হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়াটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মহছেন চৌধুরীকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

এছাড়া কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন— পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক আতিকুল হক, গাইনি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম ও বিএসএমএমইউয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দিন।