মার্কিন সুপারমডেল জিজি হাদিদ। মাস কয়েক আগেই আম্বানিদের কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষ্য়ে ভারতে এসেছিলেন জিজি হাদিদ। এই মার্কিন সুপারমডেলকে চুমু খেয়ে বিতর্কে জড়ান বরুণ, ফের সংবাদ শিরোনামে জিজি। এবার অবশ্য একদম অন্য কারণে। মাদকসহ পুলিশের জালে জিজি!
বিশ্বের সমস্ত নামীদামী ফ্যাশন ব্র্যান্ডের হয়ে র্যাম্পে হাঁটেন জিজি। সদ্যই প্যারিস ফ্য়াশন উইকে অংশ নিতে হাজির ছিলেন ফ্রান্সে। সেখান থেকে ক্যারেবিয়ান সাগরের এক ছোট্ট দ্বীপে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন জিজি, তখনই ঘটে অঘটন।
গণমাধ্যমের খবর, ১০ই জুলাই ব্যক্তিগত বিমানে এক বন্ধুর সঙ্গে কেম্যান আইসল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন ২৮ বছর বয়সী সুপারমডেল। ওয়েন রবার্ট ইন্টারন্যাশন্যাল এয়ারপোর্টে গাঁজা-সহ ধরা পড়েন জিজি, সঙ্গে সঙ্গেই কাস্টমস অফিসারদের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। জিজির ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় গাঁজা ও গাঁজা সেবনের সামগ্রী।
জিজি ও তাঁর বন্ধু লিয়াকে বিদেশ থেকে গাঁজা ও গাঁজা সেবনের আমদানি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এরপর তাঁদের ডিটেনশন সেন্টার (কয়েদিদের আটকের জায়গা)-এ নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে পরে জামিনে রেহাই পান জিজি ও লিয়া।
দু’জনের মালপত্রের মধ্যে থেকেই গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল। তবে উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ খুবই সামান্য এবং সেটি ব্য়ক্তিগত ব্যবহারের জন্য, তা স্পষ্ট।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ১২ই জুলাই জিজি ও তাঁর বান্ধবী ম্যাককার্থিকে সামারি আদালতে পেশ করা হয়। দোষ স্বীকার করে নেন দুই অভিযুক্ত, এরপর ১০০০ মার্কিন ডলার টাকার বিনিময়ে জামিন পান তাঁরা।
মাদককাণ্ডে এই প্রথম নাম জড়ানো না জিজির, এর আগে ২০১৫ সালে ‘ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট’-এর একটি অনুষ্ঠানে কোকেন সেবনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেইবার অভিযোগ অস্বীকার করেন মার্কিন সুপারমডেল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।