আত্মহত্যা বা আত্মহনন (ইংরেজি: Suicide) হচ্ছে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষ। ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা।
জীবনের প্রতি একজন মানুষ যখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তখন তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজ খুললে আত্মহননের খবর পাওয়া যায়।
আত্মহত্মার প্রবণতা কি রোগ?
আমেরিকার ডেভিড শিহান নানা উদাহরণ তুলে ধরে আত্মহত্মাকে অসুখ বলেই দাবি করছেন। তার এই দাবিকে সমর্থন দিয়েছেন বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্টরাও।
তাদের মতে, আত্মহত্যার বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, একে শুধু ডিপ্রেশনের একটি লক্ষণ বলা ভুল। আবার আত্মহত্মা ইচ্ছার প্রথম ধাপের লক্ষণ হল- যেখানে রোগী ভাবেন, আমি নিজে সক্রিয় হয়ে কিছু করব না, মৃত্যু চলে এলে ভাল হয়।
আত্মহননের কারণে অনেকে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আসুন জেনে নেই আত্মহনন থেকে প্রিয়জনকে বাঁচানোর উপায়।
১. প্রথমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর ওই ব্যক্তির মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকেই যায়। তাই তার ওপর নজর রাখতে হবে পরিবারের।
২. বাড়িতে দু’জন লোক সব সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকবেন। একজন প্রিয় মানুষ থাকতে পারে তার সঙ্গে। যেন সে তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
৩. বাড়ির সব দরজা, বাথরুমের লক-ছিটকিনি খুলে রাখা। যাতে ভিতর থেকে নিজেকে বন্দি করে রাখতে না পারে।
৪. ওই ব্যক্তির হাতের কাছে ধারালো বস্তু, দড়ি বা আঘাত লাগলে ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু রাখবেন না।
৫. ছাদ বা এমন কোনও জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেদিকে যেতে দেবেন না।
৬. কোনো কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। চুপচাপ বসিয়ে রাখবেন না।
৭.কাউন্সিলিংয়ের সময় ডাক্তার ও বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা তাবে বোঝাতে হবে সব শেষ হয়ে যায়নি। এই দুঃসময়টা কেটে যাবে। তার জন্য ভালো সময় অপেক্ষা করছে।
৮. খুব যখন অস্থির হয়ে পড়বে তখন ডাক্তারের পরামর্শমতো কিছু ওষুধ খাইয়ে দিতে হবে। এতে উদ্দীপ্ত স্নায়ু শিথিল হয়ে আসে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।