আজ ১১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মেয়েদের অধিকার, ক্ষমতা, পরিপুষ্টি, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে এই দিবসটি পালনের পাশাপাশি একই লক্ষ্যে নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন করে।
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালনের প্রস্তাব কানাডা প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করে।যার ফলশ্রুতিতে, ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।এই দিবস প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা রাখে কানাডার ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল’ নামক সংস্থা।
প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের থিম ছিল, “আমরা হবো সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার।” আজ দ্বাদশতম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস। এই বছরের থিম, ”মেয়েদের অধিকারে বিনিয়োগ করুন: আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের অস্তিত্ব।”
ইউনেস্কো এই দিবসের ভিত্তিতে সদস্য দেশগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, মেয়েদের নেতৃত্ব স্বীকার ও উৎসাহ প্রদান এবং কেন্দ্রীয় ভাবে মেয়েদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা। এছাড়াও ইউনেস্কো মেয়েদের উন্নয়নে ১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে।
এই দিনটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই দিনে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। যা দেশের মানুষদের কন্যা শিশুদের মৌলিক অধিকার, সুরক্ষা, পরিপুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করবে। জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ , নির্যাতন, ধর্ষন রোধে ভূমিকা রাখবে। এক বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গঠনে সাহায্য করবে।
লেখকঃ শেখ জুবায়ের রাহাত
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।