মোঃ আজগার আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা দেবহাটা ইউনিয়নের পারুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ০৩, তাং- ০৯-০৩-২৪ ইং। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারসহ স্বামী তানজিম আহমেদকে গ্রেফতার করেছে। নিহত হাফেজা সাইমা খাতুন (১৮) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের কন্যা।
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। বিগত ৫ মাস আগে ঐ মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরে তারা জানতে পারেন তাদের দুই পরিবার তাবলিগের দুই গ্রুপের অনুসারী। তার জামাইরা ওলামা দল এবং তারা এ তায়েত অনুসারী। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিষয়টি পরে সমাধান হয়। মেয়ের চাচা কবির হোসেন জানান, গত রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে তারা জানায়।
তখন তারা রাতেই ছেলের বাড়িতে চলে আসেন। এসে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ কল দেওয়ায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তানজিমকে গ্রেফতার করে। তারা সন্দেহ করলেন তাদের মেয়েকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা টিপে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান। ওসি আরো জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।