সারাদেশে অন্তত ২২ জেলা ও উপজেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাঙচুর করে সেখানে লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিভিন্ন সহিংসতা এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

ঢাকার কেন্দ্রীয় শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, হামলা চালিয়ে সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র, অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর করা হয়েছে। অফিসের ক্যামেরা, প্রজেক্টর, কম্পিউটার লুটপাটের পাশাপাশি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির কাগজপত্র।

আক্রান্ত শিল্পকলা একাডেমিগুলোর কালচারাল অফিসারদের পাঠানো তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় শিল্পকলা একাডেমি একটি প্রতিবেদনও তৈরি করছে।

সাবিনা ইয়াসমিন জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলো আমাদের জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা হারমোনিয়াম, তানপুরাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ক্যামেরাসহ মিলনায়তনের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে গেছে। কয়েকটি জেলায় সিসি ক্যামেরাও নষ্ট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

তবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকার কারণে সেটি সুরক্ষিত রয়েছে।

ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে অফিসে আসছেন না।

৫ আগস্ট দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয় বলে জানান জেলা কালচারাল অফিসার মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা এসে আগুন ধরিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে। মহড়াকক্ষ, আসবাবপত্র, কন্ট্রোল রুম, মিলনায়তন, মঞ্চ ও দর্শক গ্যালারিসহ বিভিন্ন জিনিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পানি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয়।

লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমির সংশ্লিষ্টরা।

ওই দিন চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতেও আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা হয়েছে।

এছাড়া, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, ময়মনসিংহ, লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, নওগাঁ, জামালপুরের মেলান্দহ, মাদারীপুরের শিবচর, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, মানিকগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইলেও হামলা হয়েছে।