পর্দায় নির্মেদ প্রেম, স্নেহের সম্পর্কের সমীকরণ তুলে ধরা দরকার। তেমনই দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সুস্থভাবে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক দেখতে দিতে হবে দর্শকদের বলে জানান বলিউড পরিচালক ও অভিনেত্রী জোয়া আখতার। আনন্দবাজার অনলাইনের সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কীভাবে প্রদর্শন করা উচিত তার মতামত স্পষ্ট করে এ কথা বলেন তিনি।
সাহিত্য আর চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের ভালোলাগার কথা বলছিলেন জাভেদ আখতারকন্যা। তখনই পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যের প্রসঙ্গ উঠে আসে। জোয়া আখতার বলেন, ছবিতে সম্মতিমূলক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখানো জরুরি। তিনি বলেন, পর্দায় সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো দরকার।
আমি এমন একটা সময়ে বড় হয়েছি, যখন দেখেছি— পর্দায় নারীদের উত্ত্যক্ত করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। নারীদের মারধর করা বা যৌন হেনস্তার দৃশ্যও খুব স্বাভাবিকভাবে দেখানো হয়েছে। এ ধরনের দৃশ্য প্রদর্শনে কোনো বাধা ছিল না। অথচ এখন একটা চুম্বনের দৃশ্য দেখাতে যত সমস্যা!
জাভেদকন্যা বলেন, পর্দায় নির্মেদ প্রেম, স্নেহের সম্পর্কের সমীকরণ তুলে ধরা দরকার। তিনি বলেন, মানুষকে প্রেম, স্নেহ, দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সুস্থভাবে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক দেখতে দিতে হবে। এ পরিচালক বলেন, প্রত্যেক ছবির ভিন্ন ভাষা রয়েছে। প্রত্যেক পরিচালকেরও গল্প বলার আলাদা ধরন রয়েছে। তিনি বলেন, পুরুষদের নগ্নতা প্রদর্শন করতে ফরাসি আর আমেরিকাবাসীর থেকে অনেক বেশি সাবলীল। শরীরের সঙ্গে ওদের সম্পর্কটা একেবারে অন্য রকম। এটা তাদের সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। নিজের শরীর নিয়ে ওরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যৌনতাকে এবং নিজের শরীরকে কেউ কীভাবে দেখেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
জোয়া আখতার বলেন, আমি যেভাবে ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ তৈরি করেছি। তার থেকে একেবারে অন্য রকম ‘লাস্ট স্টোরিজ’। তিনি বলেন, সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য প্রেমের দৃশ্য যদি দেখান, তা হলে সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু সত্যি প্রেমের আবেগও পর্দায় তুলে ধরা যায়। আমি নিজে চার অক্ষরের অশ্লীল শব্দ বলি না। কিন্তু ‘ব্যান্ডইট কুইন’-এর মতো ছবিত এমন কোনো শব্দ শুনলে আমি কিছু মনে করি না। কারণ এই শব্দ ব্যবহারের উদ্দেশ্য সুড়সুড়ি দেওয়া নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।