মোঃ আহসান হাবীব সুমন,নিজস্ব প্রতিবেদক: শহরের আমলাপাড়া জিলা স্কুলের সামনে পৌরসভার ড্রেন ও রাস্তার উপর দোতলা স্থাপন হচ্ছে। অপরদিকে স্পিকার আব্দুল করিম সড়কের স্মৃতিফলকটি ভেঙে ফেলেছে। রাস্তাটি দিয়ে ভিতরে যাওয়ার পথটিকে চিহ্নিত করার জন্য একটি সৌন্দর্য বর্ণিত তীর চিহ্নটি অতীতে থাকলেও প্রভাবশালী আশরাফ হোসেন মুরাদ স্মৃতিচিহ্নের তীর ফলকটি ভেঙে ফেলেছে অভিযোগ উঠেছে। বাকিটুকু ভাঙার জন্য নিচের দু’পাশের অনেকাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পৌরসভা রাস্তার জমি দখল করার উদ্দেশ্যে মুরাদের ছেলে জাওয়াদ দোতলা স্থাপনের তদারকি করছে। মুরাদ বিএনপি আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন বাসাবাড়ি স্থাপনের চেষ্টা করলে পৌরসভা মেয়েরের কাছে বিচার গেলে রহস্যজনকভাবে পৌরসভার বিচার থেকে ছাড় পেয়ে যায়।
আ.লীগ ও বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকায় আশরাফ হোসেন মুরাদ ঠিকাদারি ও অসুদপায়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছেন। আ’লীগের শাসনামলে ১৭বছর ধরে পৌরসভার মেয়েরের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার দিলে কোন ব্যবস্থা হয়নি। পৌরসভার ড্রেন ও রাস্তার উপর দোতলা বাসা বাড়ি স্থাপনে আশরাফ হোসেন মুরাদের সাথে দেখাও কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার সাথে দেখাও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানমের সাথে কথা হলে তিনি তাৎক্ষণিক পৌরসভায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুকুম দিলে তাৎক্ষণিক সার্ভেয়ার জমি মাপযোগ করে আশরাফ হোসেন মুরাদের সাথে পৌরসভার সামনে চা পান আপ্যায়নে সঠিক আছে বলে জানান। পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানমের দিকনির্দেশনায় স্পিকার আব্দুল করিম সড়কের স্মৃতিফলকটি রক্ষা পেল। মৌসুমী খানম আরো বলেন অন্যায়ভাবে পৌরসভার জমি ও ড্রেনের উপর বাসা বাড়ি স্থাপন করা কখনো সম্ভব নয়। যদি আশরাফ হোসেন মুরাদ বাসা স্থাপন করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।