নীলফামারীতে এক হাজার ২০০ আলেম ওলামা দাবি করেছেন ‘ইসলামে মানবিক বিয়ে বলে কোনো আইন নেই।’ যা সম্পূর্ণরূপে হেফাজতে ইসলামের মনগড়া সাজানো ধর্মের নামে মিথ্যা ফতোয়া। আজ বুধবার দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা (মউশিক) শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ জেলা শাখার পক্ষে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তারা।
 
সারাদেশে ইসলামের নামে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলার ছয় উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন।
 
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সারা দেশে ধর্মের নামে হেফাজতে ইসলাম তণ্ডব চালিয়েছে। ইসলামের দোহাই দিয়ে হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হক রিসোর্টে গিয়ে নারী নিয়ে বেহায়াপূর্ণ কাজে লিপ্ত হন। শুধু তাই নয়, ইসলামকে ব্যবহার করে সেটিকে ‘মানবিক বিয়ে’ বলে জায়েজ করার অপতৎপরতা চালায় হেফাজতে ইসলাম। বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে সেই মিথ্যাচারের মাধ্যমে বেহায়াপূর্ণ কাজকে কিভাবে হেফাজত নেতারা সমর্থন যোগালেন? তারা জ্বালাও পোড়াও ও তাণ্ডবের মাধ্যমে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তা ইসলাম বিরোধী। মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না।
 
২০১৩ সালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশ জাতি সম্পর্কে নানাবিধ ভুল তথ্য উপস্থাপন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাথে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম ও সাম্প্রদায়িক শক্তি মিলে অপতৎপরতা চালিয়েছে, যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামের নিরাপত্তা বিধানে, ইসলামের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে, সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মের নামে মিথ্যাচারকারী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক ওই লিখিত বিবৃতি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহের কথা স্বীকার করেন।