গাজীপুরের শ্রীপুরে তেলিহাটি ইউনিয়নের ডোমবাড়িচালা গ্রামে এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধের চাপে বিষপাণে আত্মহননকারী রুবেল মিয়ার তিন ছেলে-মেয়েকে ঈদের নতুন জামা কাপড় ও ঈদ সামগ্রী কিনে দিলেন পুস্পদাম রির্সোটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন (অনন্ত)।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে সাদ্দামহোসেন রুবেল মিয়ার তিন ছেলে-মেয়েকে বাড়ি থেকে নিজের প্রাইভেটকারে মাওনাচৌরাস্তা থেকে তাদের পছন্দমত নতুন জামা কাপড়,জুতা কিনে দেন।

রুবেলের তিন ছেলে-মেয়ে আরাফাত হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও রুমেলা আক্তার তাদের পছন্দমত ঈদের নতুনজামাকাপড় কিনে দেন।

তারপর ঈদ সামগ্রী কিনে নিজের গাড়িতে করে তাদের বাড়িপৌঁছে দেন। ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন (অনন্ত) বলেন,আত্মহননকারী রুবেলের পরিবার চাইলে তারতিন ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব বহন করবো। টাকার অভাবে যাতে তাদের লেখাপড়া বন্ধনা হয় তার জন্য সব সময় সহযোগিতা করবো। উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ মে) বিকেলে ডোমবাড়ীচালা গ্রামের নিজ বাড়িতে বিষপাণেআত্মহত্যা করেন রুবেল।

নিহত রুবেল ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। নিহতরুবেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, রুবেল শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী স্বামীকেনিয়ে স্ত্রী সেলিনা সংসারের হাল ধরছিলেন।

কৃষিকাজকে প্রাধান্য দিয়ে দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে জীবন চলছিল তাদের। বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমি চাষে টাকার সংকটপড়ায় পিদিম ফাউন্ডেশন, জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী শাখা থেকে পাঁচ মাস মেয়াদী২০হাজার টাকা ঋণ নেন।

গত ১০ই মার্চ মেয়াদ শেষ হলে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উৎকন্ঠায় ভূগছিলেন। গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) পিদিম ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী নাঈম বাড়িতে এসে ঋণের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে রুবেল শনিবার (১লা মে) ঋণেরটাকা পরিশোধে আশ্বাস দিলে মাঠকর্মী চলে যান।

সেলিনা আক্তার আরও বলেন, গত শনিবারও কোন টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। মাঠকর্মী আসলে তাকে কয়েকঘন্টা পর আসতে বলেন রুবেল। এনিয়ে তার স্বামীর মধ্যেহতাশা তৈরী হয়েছিল।

বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও টাকা সংগ্রহ করতে না পারায় শনিবার দুপুরে সে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। বাড়ির উঠানে গোঙানির শব্দ পেয়েতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানথেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।