দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা খাদ্যশস্যের ভান্ডার হিসেবে বেশ সু-পরিচিত। এবার এই উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করছেন।
ইতিমধ্যে বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবারে বোরো ধানের অধিক ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওযায় বেশ খুশি উপজেলার কৃষকরা।
জানা যায়-বিরামপুর উপজেলার দোশরা পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক দবিরুল ইসলাম বলেন- আমি বোরো মৌসুমে এবার ১৭ বিঘা জমিতে মিনিগেট ধান রোপন করছিলাম।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং আবহাওয়ার পরিবেশ ভালো থাকায় আমি আমার জমিতে ৪শ ৫৯ মণ কাচা ধান পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন- আমার জমিতে রোপনকৃত ধান অন্যান্য কৃষকের তুলনায় আমি একটু আলাদাভাবে বেশি বেশি করে যত্ন ও পরিচর্যা করি এজন্য আমি আমার জমিতে বেশি ফসল পাই ।
চাঁদুপর মধ্যপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেন বলেন- ৭ বিঘা মিনিকেট ধান রোপন করছিলাম। আল্লাহর কৃপায় আর ফসলে কোন রোগ বালাই না থাকায় এবার ফসল ভালো পেয়েছি। এবার আমি আমার ৭ বিঘা জমিতে ১শ ৫০মণ কাচা ধান পেয়েছি।
চাঁদপুর গ্রামের বাবু্ল আখতার বলেন- আমি ২ বিঘা জমিতে মিনিকেট ধান রোপন করছিলাম। এবার আবহাওয়া ভালো ছিলো তাই ধানের ভালো ফলন পেয়েছি। আমি আমার ২ বিঘা জমিতে ৫০মণ কাচা ধান পেয়েছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন-উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৫ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো রোপন করা হয়েছিলো। কৃষকদের রোপনকৃত ধানগুলো মধ্যে মিনিগেট, জিরা শাইল রাশাইল, ব্রি-২৮,২৯,৫৮, ৭৪,৮১,৮৮,৮৯ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইব্রিড জাতের ধান। করোনা কালীন সময়ে সীমিত জনবল দিয়েই নিরলস ভাবে পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে সু-পুরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া ও পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি না হওয়ায় ধানে কোন প্রকার পোকামাকড় আক্রমন করতে পারে নাই। এমন কি ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই এবং ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। এখন ধান কাটার মৌসুম ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ উপজেলার ৩০% কৃষক তাদের ধান কাটা শেষ করছে। তিনি আরো বলেন-এবারে চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের অধিক ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওযায় বেশ খুশি উপজেলার কৃষকরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।