মণিরামপুর পৌরসভার সীমানা ফলক জরুরী ভাবে পূনঃস্থাপনের দাবী উঠেছে। যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্থ্যকরণ কাজের জন্য পৌরসভার সীমানা ফলক ইতোমধ্যে ১টি ভেঙ্গে ফেলাসহ অপরটি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।
ফলে মণিরামপুর পৌরশহরের প্রধান সড়ক বরাবর উত্তর ও দক্ষিন সীমানা ফলক পূনরায় ১টি স্থাপনসহ অপরটি সংস্কারের দাবী উঠেছে।
সূত্রে জানাযায়, যশোর জেলার ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই মনিরামপুর থানা প্রতিষ্ঠা হয়।
একই সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মনিরামপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। থানাকে ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।
বর্তমান ইউনিয়ন সংখ্যা ১৭ টি এবং পৌরসভা ০১ টি। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে সরকার গঠন করে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেই দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে সাথে গ্রামীণ জনপদের দিকে নজর দেন।
ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপজেলা সদরের প্রধান শহরকে পৌরসভা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-৫ (মণিরামপুর) এলাকার তৎকালিন সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাড. খান টিপু সুলতানের প্রস্তাবনা ও আবেদনের পরিপেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ১০ নভেম্বর সরকার মণিরামপুর উপজেলার প্রধান শহরসহ সদর ইউনিয়নের একটি অংশ নিয়ে মণিরামপুরকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষনা প্রদান করে।
এ বছরই ১০ ডিসেম্বর সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে এবং ২৫ ফেব্রæয়ারী ১৯৯৯ইং সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে পৌরসভার প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমজাদ হোসেন লাভলু। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৌরসভা নির্বাচনে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. শহীদ মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন। চতুর্থ এবং চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী পঞ্চম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান।
ইতোমধ্যে মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান-স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের-স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যরে সহযোগিতায় এ পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০২১ ও মিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছেন তিনি। পৌরসভার আধুনিক ভবন নির্মাণ, পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন, ড্রেনেজ, রাস্তা সংস্কার ও নতুন রাস্তা নির্মাণ, গণশৌচাগার, সরকারী কবরস্থান ও শ্বশ্মান, টার্মিনাল স্থাপন ও যানজট নিরসনে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি পৌর এলাকার প্রতিটি সড়কে আলোর ব্যবস্থা এবং নাগরিক সেবার প্রদানের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই সংস্কারের ধারাবাহিকতায় যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মণিরামপুর পৌরসভার উত্তর ও দক্ষিন সীমানা ফলক আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। সূধীজনেরা পৌরসভার সার্বিক সংস্কারের সাথে-সাথে প্রধান সড়ক সংলগ্ন পৌরসভার উত্তর সীমানা ফলক সংস্কারসহ দক্ষিন সীমানা ফলক পূনস্থাপন দাবী জানিয়েছেন। কারণ ইতোমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি প্রশস্থ্যকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক সংস্কার ও প্রশস্থ্যকরণের ফলে সীমানা ফলক সড়কের খুব কাছাকাছি অবস্থান করায় উত্তর সীমানা ফলকটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ্যসহ ফলকের সামনে বৈদ্যতিক খুটি স্থাপন করা হয়েছে এবং দক্ষিন সীমানা ফলকটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলেছে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় এটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একপি পূনঃস্থাপনের সাথে সাথে অপরটি সংস্কারের আশু প্রয়োজন দেখো দিয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মণিরামপুর পৌরসভা এখন প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। এর সব কিছুতেই এখন আধুনিকীকরণের প্রয়োজন। সুতরাং সীমানা ফলক পূনরায় স্থাপন এখন সময়ের দাবী।’
একই বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় পৌরসভার বাসিন্দা ও সাবেক উপজেলা সহাকরী কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক মেইল।
জানতে চাইলে পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।